হিন্দু ধর্মকে পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম বলা হয়। মধ্য এশিয়া থেকে আর্যরা প্রাচীন ভারতে যে ধর্মীয় ভাবধারা নিয়ে এসেছিল, তা থেকেই হিন্দু ধর্মের সৃষ্টি। নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি এ ধমেৃর প্রবর্তন করেননি। বহুকাল তেকে আজ পর্যন্ত এ ধর্ম চলে আসছে বলে একে ‘সনাতন ধর্ম’ও বলা হয়। শ্রীচৈতন্য হিন্দু ধর্মের একজন বড় সংস্কারক। হিন্দুরা তাঁকে কলিযুগের অবতার বলে শ্রদ্ধা করে। তিনি বৈষ্ণব ধর্মমত প্রচার করেন।
কর্মফল ও জন্মান্তরবাদ হিন্দু ধর্মবিশ্বাসের প্রধান অঙ্গ। কর্মফল ও জন্মান্তরবাদের মূলকথা হচ্ছে মানুষ নিজের কর্মদোষে বা কর্মগুণে অনুন্নত বা উন্নত জীবন নিয়ে বারবার পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে। হিন্দুরাও অবতারবাদেও বিশ্বাসী।
বর্ণপ্রথাও হিন্দু ধর্মের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। প্রাচীন হিন্দু সমাজে কেরলমাত্র চারটি বর্ণ ছিল প্রধান। যথা: ব্রাক্ষ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র। ব্রাক্ষণদের কাজ ছিল ধর্মকর্ম ও পৌরহিত্য করা। ক্ষত্রিয়দের কাজ ছিল দেশ রক্ষা করা। বৈশ্যদের কাজ ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য। আর শূদ্রদের কাজ ছিল কায়িক পরিশ্রম। সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদ হিন্দুদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বেদের অন্য নাম শ্রুতি। উপনিষদ, গীতা, পুরাণ, রামায়ণ ও মহাভারতকেও হিন্দুরা পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হিসাবে সন্মান করে। তাদের অন্যতম তীর্থস্থান কাশী, গয়া, বৃন্দাবন, সীতাকুন্ডু প্রভৃতি। হিন্দুদের উপসনালয়কে মন্দির বলে। পৃথিবীর বৃহত্তম মন্দির এঙ্করভাট (কম্বোডিয়া)।