সিরিয়ার পশ্চিমে লেবানন ও ভূমধ্যসাগর, উত্তরে তুরস্ক, পূর্বে ইরাক, দক্ষিণে জর্ডান এবং দক্ষিণ-পূর্বে ইসরায়েল।
রাজনৈতিক পরিক্রমা
ইউনাইটেড আরব রিপাবলিক: মিশর ও সিরিয়া ১৯৫৮ সালে একত্রিত হয়ে ইউনাইটেড আরব রিপাবলিক (UAR) গঠন করে। এর রাজধানী ছিল কায়রোতে। ১৯৬১ সালে ইউনাইটেড আরব বিপাবলিক বিলুপ্ত হয়ে যায়।
গৃহযুদ্ধ : সিরিয়া সংবিধানমতে একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র হলেও ১৯৬৩ সাল থেকে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের কোনো ক্ষমতা নেই জনগণের। দেশটি কার্যত একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আরব বসন্তের বিপ্লবের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি শুরু হয় দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ প্রদর্শন। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল রাষ্ট্রপতি বাশার আল আসাদের পদত্যাগ, তার সরকারের ক্ষমতাচ্যুতি এবং সিরিয়ায় দীর্ঘ ৫ দশকের আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টির শাসনের পতন।বিক্ষোভ এক সময় অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। অভ্যুত্থান ঠেকাতে সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। সৈন্যরা সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানালে সিরীয় সেনাবাহিনী তাদের হত্যা করে। ২০১১ সালের শেষ দিকে বেসামরিক জনগণ ও সেনাবাহিনীর দলত্যাগী সৈন্যরা ‘ফ্রিসিরিয়ান আর্মি’ নামে বিদ্রোহী দল গঠন করে। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ISIL বিদ্রোহীদের পক্ষে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নেয়। খিলাফত প্রতিষ্ঠার পর ISIL সরকারি ও বিদেহী উভয় বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
Islamic State in Iraq and Syria (ISIS): ISIS ইরাক এবং সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকারী একটি উগ্র সুন্নী মতবাদীভিত্তিক গোষ্ঠী । এটি Islamic State of Iraq and the Levant (ISIL) নামেই সমধিক পরিচিত। ২০০৬ সালে গ্রুপটি ইসলামিক স্টেট অব ইরাক (ISI) নামে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। সিরিয়ান সম্প্রসারণের পর দলের নাম পরিবর্তন করে ISIL রাখে।২০১৪ সালে তারা আইসিল খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় এবং আবুবকর আল বাগদাদীকে খলিফা ঘোষণা করে।আইসিএল ঘোষিত খেলাফত ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এ সব কাজের মধ্যে রয়েছে বিনা বিচারে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ হত্যা, শিরচ্ছেদ, আগুনে পুড়িয়ে, প্রতিপক্ষ ও বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা দৃশ্যের ভিডিও প্রকাশ, প্রাচীন পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন ধ্বংস প্রভৃতি।