বিশ্বের ব্যবসা -বাণিজ্য সমুদ্রপথে ঘটে- ৯০% । সমুদ্রতলের বিভিন্ন গ্যাস ও তেল ক্ষেত্র হতে জ্বালানি তেল ও গ্যাস সরবরাহ করা হয়- পৃথিবীর ৩০% । ইউরোপীয় উপকূলীয় দেশগুলো সাগর অর্থনীতি হতে প্রতি বছর আয় করে -৫০ হাজার কোটি ডলার । বিশ্ব জিডিপিতে সমুদ্রের বার্ষিক অবদান - ৭০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার । বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মতে বিশ্বের ১.৫ বিলিয়ন জনগোষ্ঠীর ২০ ভাগ প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণ হয় - সমুদ্র হতে । সাগরের পানি প্রক্রিয়াজাত করে প্রতি বছর লবণ উৎপাদন করা হয় - ২০০ মিলিয়ন টন। বিশ্বে প্রবালভিত্তিক পর্যটন হতে বার্ষিক আয় - ৯.৬ বিলিয়ন ডলার । সামুদ্রিক সম্পদ হতে অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক আয় -৫০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাপী এক লাখের বেশি সামুদ্রিক জাহাজের মধ্যে ৪৬% নাবিক সরবরাহ করে - ফিলিপাইন । বঙ্গোপসার হতে প্রতিবছর মাছ আহরণ করা হয় - ৮০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন (বাংলাদেশ আহরণ কের ০.৭০) মিলিয়ন মে.টন)। 'ব্লু ুইকনোমি' এর ধারণা শক্তভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় - রিও -২০ সম্মেলনে। 'ব্লু ইকনোমি ' ইউরোপে চাকরি তৈরি করে -৫.৪ মিলিয়ন। বঙ্গোপসাগরের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লক ইজারা পাওয়া কোম্পানি কনোকো ফিলিপসের তথ্য মতে সেখানে গ্যাস মজুদ আছে- প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের তথ্য মতে কক্সবাজার সৈকত বালিতে মোট খনিজের প্রাক্কলিত মজুদের পরিমাণ -৪০ লাখ টন। জাহাজ তৈরির Tonnage বিবেচনায় এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান -১৩ তম । জাহাজ ভাঙা শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান - বিশ্বে দ্বিতীয় (১ম -ভারত ৩য় -চীন)। চট্রগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে প্রতিবছর আমদানি -রপ্তানি হয় -২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে জাপান সরকারের প্রস্তাবিত বঙ্গোপসাগরের তীরে বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা - 'বিগ -বি' (Bay of Bengal Industrial Growth Belt -BIG-B ) নামে পরিচিত।