যুক্তরাজ্য: অলিখিত। সনদপত্র, আবেদনপত্র (Petition) এবং অন্যান্য ঘটনাবলী সমন্বয়ে এই সংবিধান গঠিত। এর মধ্যে ম্যাগনাকার্টা, পিটিশন অব রাইটস, বিল অব রাইটস প্রভৃতি উল্লেখেযোগ্য। ম্যাগনাকার্টা (Magna Carta) কে ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের বাইবেল এবং ইংল্যান্ডের প্রথম শাসনতন্ত্র বলা হয়। ম্যাগনাকার্টা ল্যাটিন শব্দ। এর অর্থ মহা সনদ (Great Charter)। ইংল্যান্ডের রাজা জন ১২১৫ সালের ১৫ জুন সামন্তদের চাপে পড়ে রাজার অধিকার সংক্রান্ত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির কারণে রাজাকেও হতে হয়েছিল নিয়মের অধীন। এটি প্রজাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাজাদের ক্ষমতা হ্রাসের একটি যৌক্তিক দলিল। ম্যাগনাকার্টাকে সাংবিধানিক শাসনের সূচনা বলা যেতে পারে। বর্তমানে ইংল্যান্ডের শাসনতন্ত্র বলতে কোনো নির্দিষ্ট দলিল নেই।
সৌদি আরব: ১৯৯২ সালে রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে চালু করা মৌলিক আইনে কুরআন ও সুন্নাহকে রাষ্ট্রের সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করা হয়। দেশটিতে কোন সংসদ নেই।
খ) লিখিত সংবিধান
ভারত: বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিখিত সংবিধান।
যুক্তরাষ্ট্র: বিশ্বের সবচেয়ে ছোট লিখিত সংবিধান। ১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানটি প্রণীত হয় এবং ১৭৮৯ সালের ৪ মার্চ তা কার্যকর হয়।
জাপান: ১৯৪৭ জাপানের সংবিধান কার্যকর হয়। সংবিধানের ৯ নং অনুচ্ছেদের বিষয়বস্তু হলো, “ন্যায় ও শৃঙ্খলার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক শান্তি বাস্তবায়নের সমর্থন করা” । জাপানের সংবিধান ‘শান্তি সংবিধান’ নামেও পরিচিত।
নেপলি: ২০১৫ সালে নতুন সংবিধান প্রণীত হয়। এতে সমকামী, উভকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।