১৭৭২ সালের ২২ মে হুগ্লি জেলার রাধানগর নামক স্থানে এক তালুকদার পরিবারে রামমোহন রায় জম্নগ্রহণ করেন । ১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ.টেম্বর ইংল্যান্দের বিরস্টল শহরে রাজা রামমোহন রায় ইহলোক ত্যাগ করেন।
১৮২৩ সালে সংবাদপ্ত্র বিদি (press Ordinance) পাস করা হলে রামমোহন এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টে একটি প্রতিবাদ দাখিল করেন। এ প্রতিবাদ লিপির প্রিতিলিপি ইংল্যান্দের প্রিভি কাউন্সিলে প্রেরণ করেন।
রামমোহন রায় ছিলেন একাধারে সমাজ ,শিক্ষা ও ধর্ম সংস্কারক। ১৮২৮ সালে রামমোহন রায় " ব্রাহ্মসভা' প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠনের সদস্যগণ 'ব্রাহ্মসমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন। হিন্দু- ইস্লাম-খ্রিস্টধর্মের সার সংক্ষেপ করে একেশ্বরবাদের ওপর ভিত্তি করে রামমোহন ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধকরনে ও বিধবা বিবাহ প্রচলনের স্বপক্ষে তিনি জোর প্রচারণা চালান। তৎকালীন নামমাত্র দিল্লিশের মোগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তার দাবি-দাও্যা ব্রিটিশ সরকারের কাছে পেশ করার জন্য ১৮৩০ সালে রামমোহন রায়কে বিলেতে পাঠান। এ উওইলক্ষে সম্রাট তাকে রাজা ' উপাধি দেন। রামমোহন রায় লন্ডনে গিয়ে কোম্পানির শাসনে ভারতীয়দের দুরবস্থার কথা ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে অবহিত করেন। রামমোহন রায় সংস্কৃত , আরবি, ফার্সি, ইংরেজী ভাষায় পান্ডিত্য লাভ করেন । রাজা রামমোহন রায় ছিলেন পাশ্চাত্য শিক্ষার পক্ষপাতী। এ উদ্দেশ্যে তিনি কলকাতায় অ্যাংলো হিন্দু নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।