লালন ফকির ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে এক কায়স্থ হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানেরগীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তার গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকেবাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন।
হাসন রাজা
দেওয়ান হাসন রাজা উনিশ শতকের সর্বাপেক্ষা খ্যাতনামা বাউল। তিনি ১৮৫৫ সালে সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। হাসন রাজার বিখ্যাত গান
লোকে বলে, বলেরে, ঘর বাড়ি ভালা নায় আমার
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা সেতার সানাই এবং রাগসঙ্গীতে বিখ্যাত ঘরানার শুরু হিসাবে সারা বিশ্বে বিখ্যাত। মূলত সরোদই ছিল তার শাস্রীয় সঙ্গীতের বহন। আলাউদ্দীন খার জন্ম বর্তমান ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার শিবপুর গ্রামে। তার সন্তান ওস্তাদ আকবর খা ও অন্নপূর্ণা দেবূ নিজ নিজ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। আচার্যের বিখ্যাত শিষ্য হলেন পন্ডিত রবি শংকর ।
আব্বাস উদ্দীন আহমেদ
বিখ্যাত লোকসংগীত আব্বাস উদ্দীন আহমদ পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার জেলার অন্তর্গত বলরামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভাওয়াইয়া, চটকা,জারি, সারি, ভাটিয়ালি প্রভৃতি গানের জন্য বিখ্যাত।
শাহ আবদুল করিম
বাউল সম্রাট হিসেবে খ্যাত আবদুল করিম সুনামগঞ্জ জেলার উজানধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
আবদুল আলীম
আবদুল আলীম বাংলা লোকসংগীত এক অমর শিল্পী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
আজম খান
বাংলা পপগানের জনক আজম খান ঢাকার আজিমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে উচ্চারণ নামক ব্যান্ড দিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।