ইসলাম খান বারো ভুইয়াদের দুমন করে বাংলায় সুবেদারি শাসন প্রতিষ্ঠা করে। তিনি বাংলার রাজধানী হিসাবে ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন করেন। তিন ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে সুবা বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত করেন। সম্রাটের নামানুসারে তিনি ঢাকার নামকরণ করেন জাহাঙ্গিরনগর। তিনি ঢাকার দোলাই খাল খনন করে।
কাসিম খান জুয়েনী
পর্তুগিজদের অত্যাচারের মাত্রা চরমে উঠলে সম্রাট শাজাহান তাদেরকে এদেশে থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশে বাংলার সুবাদার কাসিম খান পর্তুগিজদের হুগলি থেকে উচ্ছেদ করেন।
যুবরাজ শাহ সুজা
সুবাদার শাহ সুজা মুঘল সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন। তিনি ঢাকার চকবাজারের বড় কাটরা নির্মাণ করেন।
মীরজুমলা
সবাদার মীর জুমলা ঢাকা গেট নির্মাণ করেন। তিনি আসাম যুদ্ধে যে কামান ব্যবহার করেন তা বর্তমানে ওসমানী ইদ্যানে সংরক্ষিত আছে।
শায়েস্তা খান
শায়েস্তা খান দু দফায় মোট। ২২ বছর বাংলা শাসন করেন। প্রথমে ১৬৬৪। -১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দ এবং পরে ১৬৮০-১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। তিনি চট্টগ্রাম ও স্বন্দীপ দখল করেন। তিনি চট্টগ্রামের নাম রাখেন ইসলামাবাদ। তিনি মগ ও জলদস্যুদের এ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করেন। সুবেদার শায়েস্তা খান স্থাপত্য শিল্পের জন্য বিশেষ বিখ্যাত। স্থাপত্য শিল্পের বিকাশের জন্য এই যুগকে বাংলায় মুঘলদের স্বর্ণযুগ বলা হয়। ঢাকায় শায়েস্তা খান নির্মিত কীর্তিগুলো হলো ঢাকার চকবাজারের ছোট কাটরা, লালবাগের কেল্লা, চক মসজিদ, সাত গম্বুজ মসজিদ।