১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ – উত্তরাধিকার, বিবাহ রেজিষ্ট্রি , বহুবিবাহ, তালাক দেনমোহর ও ভরণপোষণ সংক্রান্ত আইন।
উত্তরাধিকার আইন সংশোধন
এ আইনেরর ৪ নং ধারায় মুসলিম উত্তরাধিকার আইন লা ওয়ারিশ প্রথাকে বাতিল করে উত্তরাধীকারের ক্ষেত্রে ব্যাপক সংশোধন আনা হয়। এ আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারী দের মধ্যে সম্পত্তি বন্টিত হওয়ার পূর্বে মৃত ব্যক্তির কোনো পুত্র বা কন্যার মৃত্যু হলে উত্তরাধিকারী দের মধ্যে সম্পত্তি বন্টিত হওয়ার ঐ পুত্র বা কন্যা সন্তানাদী যদি জীবিত থাকে, তাহলে ঐ মৃত্যু পুত্র বা কন্যা জীবিত থাকলে সেরূপ অংশ পেত, তার সন্তানাদী সমষ্টিগত ভাবে অনুরূপ অংশ পাবে। উল্লেখ্য এ আইনের পূর্বে মুসলিম শরিয়াহ আইন অনুযায়ী পিতার মৃত্যুর পূর্বে বিবাহিত সন্তানের মৃত্যু হলে সম্পত্তি বন্টনের সময় মৃত সন্তানের জীবিত ছেলে মেয়ে উত্তরাধিকারি থেকে বঞ্চিত হতো। মুসলিম পারিবারিক আইনের এ অধ্যাদেশ প্রনীত হওয়ার পর মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার তার মৃত সন্তানের ছেলে মেয়ের উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুসলিম আইনে পিতা মাতার সম্পত্তিরে কন্যার অংশ
মৃত ব্যক্তির পুত্র থাকলে কন্যা বা কন্যারা অংশীদার হিসেবে সম্পত্তি না পেয়ে পুত্রের সাথে ২:১ অনুপাতে অর্থাৎ অবশিষ্ট অংশ বোগী হিসাবে পুত্রের অর্ধেক পায়। মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে কন্যা মৃত পিতা, মাতার সম্পত্তি হতে কখনো বঞ্চিত হয়না।
পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ,১৯৮৫
পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আইনগত সমস্যার বিচার নিষ্পত্তি সম্পর্কিত অধ্যাদেশ হচ্ছে পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ।,১৯৮৫।
পারিবারিক আদালত এবং এর এখতিয়ার
পারিবারিক আদালত বলতে ১৯৮৫ সালে জারি করা অধ্যাদেশের অধীনে স্থগিত পারিবারিক আদালতকে বুঝায়। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ এর বিধানাবলি সাপেক্ষে পাচটি বষয়
১. বিবাহ বিচ্ছেদ
২. দাম্পত্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধার
৩. মোহরানা
৪. ভরনপোষন এবং
৫. অভিবাবকত্ব ও তত্ত্বাবধায়ন অথবা এদের সাথে সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে মামলা গ্রহণ , বিচার এবং নিস্পত্তি করার একক এখতিয়ার পারিবারিক আদালতে পেয়েছে।