বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন উয়ারী বটেশ্বর নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পশ্চিমে অবিস্থত উয়ারী এবং বটেশ্বর গ্রাম দু’টি ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রার প্রাপ্তিস্থান হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে পরিচিত। প্লাইসটোসিন যুগে গঠিত মধুপুর গড়ের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত এ গ্রাম দু’টিতেই নিবিড় অনুসন্ধান ও সীমিত প্রত্নতাত্ত্বিক খননে আবিষ্কৃত হয়েছে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গ নগর।১৯৩০-এর দশকে মুহম্মদ হানিফ পাঠান নামের স্কুল শিক্ষক প্রথম উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব জনসমক্ষে তুলে ধরেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর পুত্র মুহম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান উক্ত স্থানের প্রত্নবস্ত্ত সংগ্রহ ও গবেষণার কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ দিন পর ১৯৯৬ সাল থেকে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের কাজ সম্পন্ন করা হয় এবং ২০০০ সাল থেকে উয়ারী-বটেশ্বরে নিয়মিত প্রত্নতাত্ত্বিক খননের কাজ শুরু হয়। ইতিপূর্বে গ্রাম দু’টিতে কৃষকের জমি চাষ ও নালা কাটা, গৃহস্থের বর্জ্য-গর্ত তৈরি ও মাটি কেটে স্থানীয়দের ঘর-বাড়ি নির্মাণের জন্যও গর্ত করে মাটি সংগ্রহের ফলে অনেক প্রত্নবস্ত্ত উন্মোচিত হয়েছে। আরও পাওয়া গিয়েছে বিচিত্র স্বল্প মূল্যবান পাথর ও কাচের পুঁতি, রৌপ্য মুদ্রা। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে উয়ারী প্রত্মস্থলে আবিষ্কৃত হয়েছে ৬০০ মি. x ৬০০ মি. আয়তনের চারটি মাটির দুর্গ-প্রাচীর। দুর্গ প্রাচীরের ৫-৭ ফুট উঁচু ধ্বংসপ্রাপ্ত কিছু অংশ এখনো টিকে আছে। এ ছাড়াও দুর্গের চারদিকের রয়েছে পরিখা (যদিও কালের ব্যবধানে তাতে মাটি ভরাট হয়েছে)। ভরাট হলেও পূর্ব প্রান্তের পরিখার চিহ্ন এখনো দৃশ্যমান। দুর্গের পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রায় ৫.৮ কি. মি. দীর্ঘ, ২০ মি. প্রশস্ত ও ১০ মি. উঁচু অসম রাজার গড় নামে একটি মাটির বাঁধ রয়েছে। সম্ভবত এটি দ্বিতীয় দুর্গ প্রাচীর হিসেবে উয়ারী দুর্গনগরের প্রতিরক্ষার কাজ করত। ভারতের নাগার্জুনকুন্ড হল এরকম দ্বিস্তর বিশিষ্ট দুর্গ প্রাচীরের আরেকটি উদাহরণ। বীর মাউন্ড, হস্তিনাপুর, রাজগৃহ, কৌশাম্বী, বৈশালী প্রভৃতি স্থানেও একটি দুর্গকে ঘিরে রেখেছে আরেকটি দুর্গ গড়ে উঠেছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত উয়ারী দুর্গ নগরের বাইরে আরো ৫০ টি প্রত্নস্থান এ যাবত আবিষ্কৃত হয়েছে। বন্যামুক্ত উঁচু স্থানে বসতি স্থাপনকারী মানুষের মতো উন্নত পরিকল্পনা ও বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয় মহাস্থান ও উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ অঞ্চলের বসতিবিন্যাসেও দেখা যায়। কৌটিল্য প্রণীত অর্থশাস্ত্রে দুর্গকে নগর বলা হয়েছে। ১১ শতকের বৈয়াকরণবিদ কৈয়টের মতে, ’নগর হলো উঁচু পাঁচিল এবং পরিখা দিয়ে ঘেরা বাসভূমি, যেখানে কারিগর ও ব্যবসায়ী সংঘের তৈরি আইন ও নিয়মকানুন বলবৎ থাকতো’। গ্রামীণ এলাকায় নগরায়নের ক্ষেত্রে যে দশটি নিয়ামকের তথ্য গর্ডন চাইল্ড ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতেও একই মত সমর্থন করে। উয়ারী-বটেশ্বর ছিল এই প্রক্রিয়ায় গড়ে ওঠা একটি দুর্গ নগর, নগর বা একটি নগর কেন্দ্র। আবিষ্কৃত প্রত্নবস্ত্ত বিশ্লেষণ করলেও দেখা যায় যে উয়ারী-বটেশ্বর ছিল একাধারে একটি নগর ও সমৃদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন, উয়ারী বটেশ্বর । ওয়ারী-বটেশ্বর গ্রাম দুটির অধিকাংশ স্থান জুড়ে প্রাচীন বসতি ছিল। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী গ্রাম যেমন- রাঙ্গারটেক, সোনারুতলা, কেন্দুয়া, মরজাল, চন্ডীপাড়া, পাটুলি, জয়মঙ্গল, হরিসাঙ্গন, যশোর, কুন্ডাপাড়া, গোদাশিয়া, এবং আব্দুল্লাহ নগরেও প্রাচীন বসতির চিহ্ন পাওয়া যায়। উয়ারী দুর্গনগরীর নিকটবর্তী এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রায় অর্ধশতাধিক প্রত্নস্থানের প্রত্নবস্ত্ত বিচারে ধরে নেয়া যায় যে, অধিবাসীরা ছিল কৃষিজীবী এবং এদের উৎপাদিত উদ্বৃত্ত ফসল নগরে বসবাসরত ধনিক, বণিক, পুরোহিত, কারিগর ও রাজকর্মচারীদের খাদ্য চাহিদা পূরণ করত। উয়ারী-বটেশ্বরের অধিবাসীগণ উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত ছিল। তারা ধাতু গলিয়ে মুদ্রা তৈরি করার প্রযুক্তি জানত এবং পুঁতির সঙ্গে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে অলংকার তৈরি করতে পারত। উত্তরাঞ্চলীয় কালো মসৃণ মৃৎপাত্রের সঙ্গে এ নগর সংস্কৃতির সম্পর্ক রয়েছে। কারণ উপমহাদেশে দ্বিতীয় নগর সভ্যতার প্রত্নস্থানগুলোতে উত্তরাঞ্চলীয় কালো মসৃণ মৃৎপাত্র পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক খননে আবিষ্কৃত হয়েছে পেরেক, লৌহমল, লৌহ গলানোর ফলে অতি ক্ষুদ্র বল, মরিচাপড়া লৌহবস্ত্ত প্রভৃতি। প্রাপ্ত পোড়ামাটি থেকে ধারনা করা যায় যে, এ স্থানে উচ্চ তাপমাত্রায় লোহা গলানোর প্রযুক্তির প্রচলন ও ব্যবহার ছিল। ওয়ারী-বটেশ্বর প্রত্নস্থানের ধর্মীয় প্রকৃতি জানা যায় না। তবে প্রত্নস্থলে প্রাপ্ত নবড্ মৃৎপাত্র এতদঞ্চলে বৌদ্ধ সংস্কৃতির ইঙ্গিত বহন করে। দিলীপ কুমার চক্রবর্তী (অধ্যাপক, সাউথ এশিয়ান আর্কিওলোজি, ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি) মনে করেন যে, উয়ারী-বটেশ্বরের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং রোমান সাম্রাজ্যের যোগাযোগ ছিল। কারণ প্রাপ্ত রুলেটেড মৃৎপাত্র, স্যান্ডউইচ কাচের পুঁতি, স্বর্ণ আবৃত কাঁচের পুঁতি, টিন মিশ্রিত ব্রোঞ্জ ইত্যাদি সব উপকরণ এ তথ্যের সত্যতার প্রমাণ দেয়। গর্ডন চাইল্ডের মতে, উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলটি টলেমি (দ্বিতীয় শতকের ভূগোলবিদ) উল্লেখিত ‘সোনাগড়া’। কারণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একক রঙের কাঁচের পুঁতি উয়ারী-বটেশ্বর ছাড়াও শ্রীলংকার মানটাই, দক্ষিণ ভারতের আরিকামেদু, থাইল্যান্ডের কিয়ন থম প্রভৃতি অঞ্চলে পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি উয়ারী-বটেশ্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে ইটের স্থাপনা পাওয়া গিয়েছে যা গর্ডন চাইল্ডের নগরায়ণ এর বৈশিষ্ট্যকে সমর্থন করে। খননের ফলে গলিপথসহ ১৬০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা আবিষ্কৃত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা একমত যে, উয়ারী বটেশ্বরে কেবল নগরায়নই ঘটেনি, ব্রহ্মপুত্র নদের উপস্থিতির কারণে এ অঞ্চল একই সঙ্গে ছিল নদীবন্দর এবং বাণিজ্য নগর। উয়ারী-বটেশ্বরে জনপদ শ্রেণি ও সাম্রাজিক শ্রেণি এ দু’প্রকারের ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছে। জনপদ শ্রেণির মুদ্রাগুলো খ্রিস্টপূর্ব ৬-৪ শতক পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। এ মুদ্রাসমূহ উয়ারী-বটেশ্বরকে উপমহাদেশে ষোড়শ মহাজনপদের (খ্রিস্টপূর্ব ৬-৪) রাজ্য/রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঙ্গে সমাগোত্রীয় ও সমসায়িক বলে ধারণা করা হচ্ছে। তা ছাড়াও ধারণা করা হয় যে, উয়ারী বটেশ্বর জনপদের রাজধানী ছিল। সাম্প্রতিক আরেকটি প্রত্নতাত্ত্বিক খননে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নগর বা ষোড়শ মহাজনপদ পূর্ব সময়ের মানব বসতির চিহ্নও আবিষ্কৃত হয়েছে যা তাম্র-প্রস্তর সংস্কৃতির চিহ্ন বহন করে। তাম্র-প্রস্তর সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হলো গর্ত বসতির চিহ্ন। ভারতের মহারাষ্ট্রের ইমামগাঁওয়ে অনুরূপ বসতির চিহ্ন আবিষ্কৃত হয়েছে। বৃষ্টিবহুল বাংলার গর্ত বসতি কতটুকু সম্ভব, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ধারণা করে নেয়া হয়েছে যে, খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ বা তার কিছু আগে এ মহাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক ছিল। দৈবাৎ প্রাপ্তি (Chance Finding) হলেও উয়ারী-বটেশ্বরে নব্য প্রস্তর যুগের হাতিয়ারও আবিষ্কৃত হয়েছে। এ অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে উত্তর ভারতীয় কালো মসৃণ মৃৎপাত্র প্রাপ্তি মৌর্য সাম্রাজ্যের বিস্তৃতির সাক্ষ্য বহন করে। পুন্ড্রনগর বগুড়ার মহাস্থানগড়কে সার্ক-এর সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছে । এখন থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এখানে গড়ে উঠেছিল এক সমৃদ্ধ নগর। যার নাম পুন্ড্রনগর বা পুন্ড্রবর্ধন নগর। কালের আবর্তনে বর্তমানে এর নাম দাঁড়িয়েছে মহাস্থানগড়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতাব্দী থেকে খ্রিষ্টীয় ১৫ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে এই নগর এক সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে বিস্তার লাভ করে। কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এখানে অসংখ্য হিন্দু রাজা ও অন্যান্য ধর্মের রাজারা রাজত্ব করেন। এর ভেতর রয়েছেন মৌর্য, গুপ্ত, পাল রাজবংশের বাজরা। এরপর এখানে ধর্ম প্রচার করতে আসেন ইসলাম ধর্মপ্রচারকরা। কোটিবর্ষ প্রাচীন দুই মহাকাব্যর অন্যতম মহাভারত থেকে যে দুটি বিশেষ নগরীর নাম তারা হল যথাক্রমে গৌড়পুর ও কোটিবর্ষ। চৈনিক পরিব্রাজকদ্বয় হিউয়েন সাং ও ফা- হিয়েন তাদের রচনায় বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছে যে নগরীকে সেটি হল এই “কোটিবর্ষ” বা “বানগড়” নামে যা সমধিক পরিচিত।সেই সময়ে এই নগরী ছিল শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শিল্পে প্রভূত ঐতিহ্যশালী। অতীতের ‘কোটিবর্ষ’ ‘বানগড়’ হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে ছোট্ট একটি ইতিহাস। রাজা বলির মৃত্যর পর তাঁর পুত্র বান এই নগরীর ভার গ্রহণ করেন।এবং সেই থেকেই রাজ্যের নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় বানরাজ্য এবং নগরীর নাম হয় বাননগর।যা বর্তমানে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে অবস্থিত। নোয়াপাড়া ঈষাণচন্দ্রনগর নোয়াপাড়া-ঈষাণচন্দ্রনগর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত অন্যতম বৃহৎ অনাবিষ্কৃত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। ধ্বংসাবশেষের বেশির ভাগ অংশ বাংলার বৌদ্ধ আমলের। অনেক পণ্ডিতরা মনে করেন যে, এই নিদর্শনগুলো হারিয়ে যাওয়া নগরী কর্মান্ত ভাসাকার, যা ৭ম শতকের সমতটের রাজধানী খাদগা। সোনারগাঁও সোনারগাঁও স্বর্ণগ্রাম বা সুবর্ণগ্রাম নামে অভিহিত বঙ্গের এক প্রাচীন জনপদ। ব্রহ্মপুত্রের উভয় তীর ব্যাপী বিস্তৃত এই জনপদে ‘স্বর্ণভূষিত’ জাতি নামে চিহ্নিত এক আদিম জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। এরা ঐতিহ্যগতভাবেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিত ছিল। মহাভারতে বর্ণিত কুরুপান্ডব যুদ্ধের সময়কালে এবং সম্ভবত এর আগেও এই জনপদের অস্তিত্ব ছিল বলে অনুমিত হয়। পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের পশ্চিম তীরে অবস্থিত হিন্দুদের দুটি ঐতিহ্যবাহী পবিত্র স্নানতীর্থ লাঙ্গলবন্দ ও পঞ্চমীঘাট এ অঞ্চলের প্রাচীন গুরুত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। প্রাচীন সুবর্ণগ্রাম জনপদ পূর্বে মেঘনা, দক্ষিণে ধলেশ্বরী এবং পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা নদী দ্বারা বেষ্টিত ছিল এবং এর উত্তর সীমা বিস্তৃত ছিল আধুনিক বৃহত্তর ঢাকা জেলার উত্তর প্রান্তসীমায় ব্রহ্মপুত্র নদী পর্যন্ত। আধুনিক ভৌগোলিক বিভাগের নিরীখে এই জনপদের অবস্থান নির্ধারণ করতে গেলে বলা যায় যে, প্রাচীনকালে এই জনপদের অবস্থান ছিল শীতলক্ষ্যা ও মেঘনার মধ্যবর্তী ওই ভূখন্ডে যা বর্তমানে নরসিংদী জেলা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার বৃহত্তর অংশে বিস্তৃত।কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের বহু পূর্বে সোনারগাঁও এলাকায় একটি স্বাধীন রাজ্যের রাজধানী ছিল এমন লোকশ্রুতি নির্ভর বিবরণ রয়েছে। তা ছাড়াও বঙ্গ বা সমতট রাজ্যের একটি প্রদেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে খ্রিস্টীয় ছয় শতক থেকে অন্যূন দশ শতকের দ্বিতীয় বা তৃতীয় পাদ পর্যন্ত এ অঞ্চলের রাজনৈতিক গুরুত্ব নিরূপন করা যায়। সমাচার দেবের ছয় শতকের ভূমিদান লিপিতে (গোগরাহাটি তাম্রশাসন) উলেখিত সুবর্ণবীথি এই অঞ্চলকেই নির্দেশ করে। সম্ভবত তেরো শতকের সত্তুরের দশকে রাজা দনুজ রায়ের (দশরথদেব দনুজমাধব) অধীনে সোনারগাঁও স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে পরিণত হয়। তখন থেকে পূর্ববঙ্গে স্বাধীন হিন্দু রাজত্বের অবসানের (১৩০২) পূর্ব পর্যন্ত সোনারগাঁ বঙ্গরাজ্যের রাজধানী ছিল। এ সময়ের পর থেকে গিয়াসুদ্দীন বাহাদুর শাহের উত্থান এবং পূর্ববঙ্গে স্বাধীন সালতানাত শাসন প্রতিষ্ঠার (১৩১৭) পূর্ব পর্যন্ত সময়ে সোনারগাঁয়ের গৌরব সাময়িক ম্লান হয়ে পড়ে। পূর্ববঙ্গে বাহাদুর শাহের সালতানাতের রাজধানী ছিল সোনারগাঁও। বাহাদুর শাহের পতন (১৩২৮) এবং বাংলাকে মুহাম্মদ বিন তুগলকের সাম্রাজ্যের অর্ন্তভুক্ত করার পর পরবর্তী এক দশক কাল সোনারগাঁও নগরী ছিল বাংলার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র। লালবাগ কেল্লা লালবাগ কেল্লা (কেল্লা আওরঙ্গবাদ নামেও পরিচিত ছিল) ১৭ শ শতকে নির্মিত একটি অসমাপ্ত মুঘল দুর্গ স্থাপনা। এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১৬৭৮ সালে, মুঘল সুবাদার মুহাম্মদ আজম শাহ কতৃক, যিনি ছিলেন সম্রাট আওরঙগজেবের পুত্র এবং পরবর্তীতে নিজেও সম্রাট পদপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তার উত্তরসুরী, মুঘল সুবাদার শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করেন, কিন্তু শেষ করেননি। তবে সেখানে তার কন্যা পরিবিবির সমাধি করা হয়।বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। বড় কাটরা এবং ছোট কাটরা বড় কাটরা ঢাকায় চকবাজারের দক্ষিণে অবস্থিত মুঘল আমলের একটি সরাইখানা। সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার নির্দেশে ১৬৪৪ থেকে ১৬৪৬ খ্রিস্টাব্দে দিওয়ান (প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা) মীর আবুল কাসিম দ্বারা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এই ইমারতটি নির্মাণ করা হয়। তিনি মীর-ই-ইমারত নামে পরিচিত ছিলেন। প্রথমে এতে শাহ সুজার বসবাস করার কথা থাকলেও পরে এটি মুসাফিরখানাহিসাবে ব্যবহৃত হয়। ছোট কাটারা শায়েস্তা খানের আমলে তৈরি একটি ইমারত। আনুমানিক ১৬৬৩ - ১৬৬৪ সালের দিকে এ ইমারতটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং তা ১৬৭১ সালে শেষ হয়েছিল। এটির অবস্থান ছিল বড় কাটারারপূর্বদিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে। ইমারতটি দেখতে অনেকটা বড় কাটারার মত হলেও এটি আকৃতিতে বড় কাটারার চেয়ে ছোট এবং এ কারণেই হয়তো এর নাম হয়েছিল ছোট কাটারা। রাজশাহী বড়কুঠি পদ্মা নদীর পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের শহর রাজশাহী। বলা চলে এই নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে রাজশাহী অঞ্চল। আর এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রাচীন স্থাপনা হচ্ছে বড়কুঠি। বিশাল এই ভবনটিও পদ্মার তীর ঘেঁষেই রয়েছে।ডাচ ব্যবসায়িরা জরুরী সময়ে ভবন বা ইমারতটি দুর্গ হিসেবে ব্যবহার করত। এজন্য ইমারতের ছাদে এবং নিচে বেশকটি কামান শত্রুদের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রাখতো সবসময়। ১৮৩৩ সালে এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দখলে আসলে কামানগুলো অন্য যায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে এখনো তিনটি পুরাতন কামান রাজশাহী পুলিশ লাইন এ সংরক্ষিত আছে। আহসান মঞ্জিল আহসান মঞ্জিল (Ahsan Manzil) পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। দোতলা এ ভবনের বারান্দা ও মেঝে তৈরি করা হয়েছে মার্বেল পাথর দিয়ে। আহসান মঞ্জিলের প্রতিটি কক্ষ অষ্টকোণ বিশিষ্ট এবং এই ভবনের ছাদ কাঠের তৈরি। প্রাসাদের ভেতরে রয়েছে খাবার ঘর, লাইব্রেরি, জলসাঘর, দরবার হল এবং বিলিয়ার্ড খেলার জায়গা। আর প্রাসাদের দোতলায় রয়েছে অথিতিদের থাকার কক্ষ, বৈঠকখানা, নাচঘর, গ্রন্থাগার এবং আরো কিছু বসবাসের কক্ষ। প্রসাদের ঠিক সামনে রয়েছে চমৎকার ফুলের বাগান ও সবুজ মাঠ। আহসান মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলা থেকে একটি বড় সিড়ি সবুজ মাঠে নেমে এসেছে। আহসান মঞ্জিলকে ঢাকা শহরের প্রথম ইট-পাথরের তৈরি স্থাপত্য নিদর্শন হিসাবে মনে করা হয়। আর তৎকালীন নবাবদের হাতে এই ভবনেই প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে উঠে। আহসান মঞ্জিলের স্থাপত্যশৈলী পশ্চিমাদেরও সমানভাবে আকর্ষণ করে, লর্ড কার্জন ঢাকায় আসলে এই ভবনেই থাকতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশ সরকারের জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষিত আছে। ১৯৯২ সালে এই জাদুঘর জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আহসান মঞ্জিলের রংমহলের ২৩ টি কক্ষে ৪ হাজার ৭৭ নিদর্শন রয়েছে। কার্জন হল ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের নামানুসারে এ ভবনটি টাউন হল হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। ১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরের বছরই বাংলাকে বিভক্ত করা হয় এবং ঢাকা হয় নতুন প্রদেশ পূর্ববঙ্গ ও আসামের রাজধানী। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হলে এটি ঢাকা কলেজ ভবন হিসেবে ব্যবহূত হতে থাকে। পরে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠিত হলে এ ভবন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের অংশ হিসেবে ব্যবহূত হতে শুরু করে এবং এখনও এভাবেই চলছে। তিন নেতার মাজার রাজধানী ঢাকার দোয়েল চত্বরের কাছে অবস্থিত তিন নেতার মাজার (Teen Netar Mazar) বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম নিদর্শন। বাংলাদেশের জাতীয় তিন নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন এবং এ কে ফজলুল হক-এর সমাধির উপর ১৯৬৩ সালে স্থপতি মাসুদ আহমদ ও এস এ জহিরুদ্দিনের নকশায় তিন নেতার মাজার স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গভবন বঙ্গভবন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের (রাষ্ট্রপতি) সরকারি বাসভবন ও কার্যালয়। স্থাপনাটি দেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত। প্রাসাদটি মূলত বৃটিশ ভাইসরয় অফ ইন্ডিয়ার অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্থাপনাটি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে মহাস্থানগড় প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন প্রত্নস্থল বলে সারা পৃথিবীর পর্যটক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে মহাস্থানগড় আকর্ষণীয়। মহাস্থানগড় কথাটার শেষ শব্দ ‘গড়’-এর মানে হলো ‘উচ্চস্থান’।
স্বাভাবিক ভূমির চেয়ে এ জায়গাটা অনেক উঁচু। ঘটনাবহুল ইতিহাস, ধর্মীয় অনুভূতি, প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব সব মিলিয়ে মহাস্থানগড়ের মানসিক ধারণাও অনেক উঁচুতে। অসংখ্য প্রাচীন রাজা ও ধর্মপ্রচারকদের বসবাসের কারণে এই উচ্চভূমিটি ‘মহাস্থান’ বা অতীব গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আদিরূপ কিন্তু নতুন সাজে সেজেছে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়। কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসা আড়াই হাজার বছর আগের প্রাচীন বাংলার রাজধানী এই দর্শনীয় স্থানটি এখন সাজছে নতুন রূপে। বাংলার সর্বপ্রাচীন রাজধানী পুণ্ড্রনগরের অসংখ্য পুরাকীর্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহাস্থানগড়ে অতি সমপ্রতি করা হয়েছে সংস্কারকাজ, দর্শনার্থীদের জন্য নির্মাণ হয়েছে আকর্ষণীয় পিকনিক স্পটসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
মহাস্থানগড়েই এক সময় গড়ে উঠেছিল ‘পুন্ড্রবর্ধন’ বা ‘পুন্ড্রবর্ধন’ নগর নামের এক প্রাচীন নাগরিক বসতি। যিশু-খ্রিষ্টের জন্মেরও ৬শ বছর আগে এখানে সভ্য নগরজনপদ গড়ে উঠেছিল প্রত্নতাত্ত্বিকভাবেই তার প্রমাণ মিলেছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক আর ইতিহাসবিদগণ মহাস্থানগড়কে হারিয়ে যাওয়া কিংবদন্তির নগরী পুণ্ড্রবর্ধন বলে উল্লেখ করেছেন। বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ ৬৩৯ থেকে ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে পুণ্ড্রনগরে এসেছিলেন। ভ্রমণের বিবরণীতে তিনি তখনকার প্রকৃতি ও জীবনযাত্রার বর্ণনা করেন।
শোনা যায়, তিনি মহাস্থানগড় অর্থাৎ প্রাচীন পুণ্ড্রনগরে প্রবেশ করার সময় সে কালের বিশাল ও প্রাচীন করতোয়া নদী পার হয়েছিলেন একটা বিশাল আকৃতির মাছের পিঠে চড়ে। এ জন্য তার নামের শেষে উল্লেখ করা হয় মাহীসওয়ার বা ‘ মাছের পিঠে আরোহণকরী’। বাস্তববাদীরা বলেন, মাহীসওয়ার নদী পার হয়েছিলেন ঠিকই তবে তা মাছের পিঠে চড়ে নয়। বরং মাছের আকৃতিতে তৈরি করা নৌকার পিঠে চড়ে।
এখানে একটিমাত্র প্রাচীন মসজিদ পাওয়া গেছে যা মোগল সম্রাট ফাররুক শিয়ারের রাজত্বকালে ১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দে নির্মাণ করা। ব্রিটিশ শাসনামলে এই মাজার থেকেই ফকির বিদ্রোহের কর্মসূচি পরিচালিত হতো। প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার মাজারটি ঘিরে বিশাল এক মেলার আয়োজন হয়।
প্রশ্নঃ ১. ক. বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির প্রবাল দ্বীপের গুরুত্ব কী?
বর্ণনাঃ
বাংলাদেশের দক্ষিণেে অবস্থিত সেন্ট মান্টিন্সকে প্রবাল দ্বীপ বলে। এ দ্বীপটির প্রধান গঠন উপাদান হলো চুনাপাথর। সেন্ট মার্টিন্সের পশ্চিম- উত্তর পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কি.মি. প্রবাল প্রাচীর। এখানে অর্থনীতি মূলত মৎস্য কেন্দ্রীক। কিছু লোক সমুদ্র তল থেকে শৈবাল ও ঝিনুক সংগ্রহ করে তা পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারেে রপ্তানি করে টাকা উপার্জন করে।
প্রশ্নঃ ১. ক. বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিতে প্রবাল দ্বীপের গুরুত্ব কী?
বর্ণনাঃ
বাংলাদেশের দক্ষিনে অবস্থিত সেন্ট মার্টিন্সকে প্রবাল দ্বীপ বলে। এ দ্বীপটির প্রধান গঠন উপাদান হলো চুনাপাথর। দ্বীপটির উত্তর পাড়া এবং দক্ষিণ পাড়া দু’জায়গারই প্রায় মাঝখানে জলাভূমি আছে। এগুলো মিঠা পানি সমৃদ্ধ এবং ফসল উৎপাদনে সহায়ক। এ দ্বীপের তিন দিকের ভিত শিলা যা জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে। সেন্ট মার্টিন্সের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর। সেন্টমার্টিনের অর্থনীতি মূলত মৎস্য কেন্দ্রীক। অধিকাংশ লোকের পেশা হচ্ছে মাছ ধরা। আর সেই সূত্রে তাদের সমাজ প্রধানত জেলে সমাজ। কিছু লোক আবার সমুদ্র তল থেকে শৈবাল ও ঝিনুক সংগ্রহ করে তা পার্শ্ববর্তী মায়ানমারে রপ্তানি করে টাকা উপার্জন করে।
প্রশ্নঃ ১. ক. বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিতে প্রবাল দ্বীপের গুরুত্ব কী? খ. বাংলাদেশের নিস্ক্রিয় ব - দ্বীপসমূহ বলতে কী বোঝেন? গ. বাংলাদেশের ভূ - প্রকৃতিতে বরেন্দ্র অঞ্চল এবং বরেন্দ্র জাদুঘরের গুরুত্ব বর্ণনা করুন । ঘ. বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহিদমিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং সংসদ ভবনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব কি? ২. ক. বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য বর্ণনা করুন । খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব আলোচনা করুন । গ. বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ১৯৭০ সালের সাধারণ প্রভাব পর্যালোচনা করুন । ঘ. মুজিবনগর সরকার বলতে কী বোঝেন? ৩. ক. বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিগুলাে কী কী? খ. বাংলাদেশের সংবিধানে অনুসারে জনগণের মৌলিক অধিকারসমূহ কী কী? গ. বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লিখিত নারীর অধিকারগুলো লিখুন । ঘ. 'প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ' বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ অনুসারে ব্যাখ্যা করুন । ৪. ক . বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারের কাঠামো তুলে ধরুন । খ. স্থানীয় সরকারের পৌরসভা নির্বাচন বিধিমালা ২০১৫ বর্ণনা করুন । গ. বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ - আলোচনা করুন । ঘ. 'ইউনিয়নে পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ 'পর্যালোচনা করুন । ৫. ক. ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ দলিলের গুরুত্ব বর্ণনা করুন । উক্ত দলিলে পাকিস্তান ও ভারতীয় বাহিনীর পক্ষে কে কে স্বাক্ষর করেন এবং মুক্তিবাহিনীর পক্ষে কে উপস্থিত ছিলেন ? খ.বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন দিবস - আলোচনা করুন । গ. স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার কার্যক্রম - পর্যালোচনা করুন । ঘ. বাংলাদেশের ছিটমহল সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকারের অর্জন _ আলোচনা করুন ।
বর্ণনাঃ
উত্তর আসছে।
প্রশ্নঃ ৬. ১০ বছরের একটি ছেলে হারিয়ে গেছে। ছেলেটির মা -বাাব গেছেন থানায় । পুলিশ মামলা নিতে চাইছে না । ছেলেটির মা - বাবা এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্র অবলম্বন করে এই পরিস্থিতির উপযুক্ত সংলাপ রচনা করুন ।
বর্ণনাঃ
উত্তর আসছে।
দুঃখিত । আপনি লগ ইন করেন নি। কোন প্রশ্ন কে পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগ ইন করতে হবে।
দুঃখিত । আপনি লগ ইন করেন নি। কোন ব্যাখ্যা পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে।
বিষয়ভিত্তিক সমাধান
প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সমাধান
গুরুত্বপূর্ণ লিংক
আমাদের সিস্টেম ডেভেলপারগণ এই অপশন নিয়ে কাজ করছে । আগামী ৩১ মে অপশনটি শুভ উদ্বোধন করা হবে।
আর মাত্র
বাকি
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ