শশাংকের পর দীর্ঘদিন বাংলায় কোনো যোগ্য শাসক ছিলেন না।ফলে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা ও আরজকতা দেখা দেয়। কেন্দ্রীয় শাসন শক্তভাবে ধরার মত কেউ ছিলনা। সামন্ত রাজারা প্রত্যেককেই বাংলার রাজা হওয়ার কল্পনায় অস্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে থাকেন। এ অরাজকতা পূর্ণ সময় (৭-৮ম শতক) কে পাল তাম্র শাসনে আখ্যায়িত করা হয়েছে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলে। পুকুরে বড় মাছগুলো শক্তির দাপটে ছোট মাছগুলো ধরে ধরে খেয়ে ফেলার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে বলে মাৎস্যন্যায় বলে। বাংলার সফল অধিপতিরা এমনি করে ছোট ছোট অঞ্চলগুলোকে গ্রাস করেছিল।
গোপাল(৭৫৬-৭৮১ খ্রি.)
৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলার অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটে পাল রাজত্বের উত্থানের মধ্য দিয়ে। পাল বংশের প্রথম রাজা ছিলেন গোপাল। বাংলায় প্রথম বংশানুক্রমিক শাসন শুরু হয় পাল বংশের রাজত্বকালে। পাল বংশের রাজারা একটানা চারশত বছর এদেশে শাসন করেছিলেন। এত দীর্ঘ সময় আর কোন রাজবংশ এদেশে শাসন করেনি। পাল বংশের রাজারা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
ধর্মপাল
পাল রাজাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন গোপালপুত্র ধর্মপাল। তার যুগে তিনটি রাজবংশ প্রতিযোগিতায় নেমেছিল উত্তর ভারতে অধিপত্য বিস্তার করতে। একটি বাংলার পাল বংশ, অন্যটির রাজপুতানার গুর্জর প্রতিহার বংশ এবং তৃতীয়টি দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রকূট বংশ। ইতিহাসে এ যুদ্ধ পরিচিত হয়েছে ‘ত্রিশক্তির সংঘর্ষ’ নামে।