পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম এর অংশ হিসেবে সরকার ১৯৯২ সালে জাতীয় পরিবেশ নীতি প্রণয়ন করে। পরিবেশ দূষণ ৪ প্রকার। যথা : ১. পানি দূষণ ২. বায়ু দূষন ৩. মাটি দূষণ এবং ৪. শব্দ দূষণ।
বায়ু দূষণ
প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কল কারখানা, যানবাহন। কার্বন মনো অক্সাইড , সালফার ডাই অক্সাইড , ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি বায়ু দূষণকারী গ্যাস কলকারখানা অথবা যানবাহন হতে নির্গত হয়। গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোয়ায় থাকে বিষাক্ত গ্যাস। ডিজেল পোড়ালে বাতাসে আসে সালফার ডাই আক্সাইড গ্যাস। শহরের বায়ুতে মাত্রারিক্ত সীসা পাওয়া যায়। বায়ু দূষন হ্রাসের লক্ষ্যে ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগরীতে টু স্ট্রোক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
শব্দ দূষণ
শব্দ দূষণের ফলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। ১০৫ ডিবি এর বেশি মাত্রার শব্দ দূষণ হলে মানুষ বধির হতে পারে।
পানি ও মাটি দূষণ
পলিথিন ব্যবহারের পর পরিত্যক্ত পলিথিন মাটিতে বা পানিতে পচে না। ফলে এটি দীর্ঘকাল অপরিবর্তিত থেকে মাটি, পানি তথা পরিবেশের ক্ষতি করে। ১ জানুয়ারি ২০০২ সালে ঢাকা শহরে এবং ১ মার্চ ২০০২ সারাদেশে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। কচুরিপানা পানি দূষণ কমাতে সহায়তা করে। কচুরিপানা বাংলাদেশে এসেছে সুদূর মেক্সিকো থেকে।
১. ক. বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির প্রবাল দ্বীপের গুরুত্ব কী?
বর্ণনাঃ
বাংলাদেশের দক্ষিণেে অবস্থিত সেন্ট মান্টিন্সকে প্রবাল দ্বীপ বলে। এ দ্বীপটির প্রধান গঠন উপাদান হলো চুনাপাথর। সেন্ট মার্টিন্সের পশ্চিম- উত্তর পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কি.মি. প্রবাল প্রাচীর। এখানে অর্থনীতি মূলত মৎস্য কেন্দ্রীক। কিছু লোক সমুদ্র তল থেকে শৈবাল ও ঝিনুক সংগ্রহ করে তা পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারেে রপ্তানি করে টাকা উপার্জন করে।
১. ক. বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিতে প্রবাল দ্বীপের গুরুত্ব কী?
বর্ণনাঃ
বাংলাদেশের দক্ষিনে অবস্থিত সেন্ট মার্টিন্সকে প্রবাল দ্বীপ বলে। এ দ্বীপটির প্রধান গঠন উপাদান হলো চুনাপাথর। দ্বীপটির উত্তর পাড়া এবং দক্ষিণ পাড়া দু’জায়গারই প্রায় মাঝখানে জলাভূমি আছে। এগুলো মিঠা পানি সমৃদ্ধ এবং ফসল উৎপাদনে সহায়ক। এ দ্বীপের তিন দিকের ভিত শিলা যা জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে। সেন্ট মার্টিন্সের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর।সেন্টমার্টিনের অর্থনীতি মূলত মৎস্য কেন্দ্রীক। অধিকাংশ লোকের পেশা হচ্ছে মাছ ধরা। আর সেই সূত্রে তাদের সমাজ প্রধানত জেলে সমাজ। কিছু লোক আবার সমুদ্র তল থেকে শৈবাল ও ঝিনুক সংগ্রহ করে তা পার্শ্ববর্তী মায়ানমারে রপ্তানি করে টাকা উপার্জন করে।