নানা কারণেই একটি দেশে চালুকৃত মুদ্রার পরিমাণ অনেক সময় মাত্রাতিক্ত হারে বেড়ে যায় । কিন্তু সেইসাথে পণ্য সরবরাহের পরিমাণ একই হারে বাড়ে না ফলে বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায় । অর্থনীতির ভাষায় একে বলে মুদ্রাস্ফীতি । আর সেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কতগুলো হাতিয়ার রয়েছে। যেমন- কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক হার বৃদ্ধি, নগদ জমার অনুপাত বৃদ্ধি, খোলাবাজারে ঋণপত্র বিক্রয় ইত্যাদির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় । মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি করা হলে মুদ্রাস্ফীতি আরো বাড়বে তাই এটি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার নয়।
প্রশ্নঃ সুদের হার ও শেয়ার বাজারের সম্পর্ক কোন ধরনের?
বর্ণনাঃ
সুদের হার কথাটি শেয়ারবাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । সুদের হারের সাথে বিনিয়োগের যেমন ঋণাত্মক সম্পর্ক তেমনি শেয়ারবাজার হচ্ছে বিনিয়োগের একটি বিশাল ক্ষেত্র, যেখানে সুদের হার বাড়লে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কমে আবার বিপরীতক্রমে সুদের হার কমলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ে । সুদের হার কমলে লোকজন সঞ্চয় না বাড়িয়ে সেটা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবে।
বাগধারা শব্দের আভিধানিক অর্থ কথার বচন ভঙ্গি বা ভাব বা কথার ঢং। বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরী হয়েছে। এ ধরনের প্রয়োগের পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ আভিধানিক অর্থ ছাপিয়ে বিশেষ অর্থের দ্যোতক হয়ে ওঠে। যে পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে আভিধানিক অর্থের বাইরে আলাদা অর্থ প্রকাশ করে, তাকে বলা হয় বাগধারা। বাগধারা ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করে, ভাবের ইঙ্গিতময় প্রকাশ ঘটিয়ে বক্তব্যকে রসমধুর করে উপস্থাপন করে। এদিক থেকে বাগধারা বাংলা সাহিত্যের বিশেষ সম্পদ। বাগধারা গঠনে বিভিন্ন শব্দের ব্যবহারকে শব্দের রীতিসিদ্ধ প্রয়োগও বলা হয়। একে বাগবিধিও বলা হয়ে থাকে।