প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসনকে ১৯১৮ সালের অক্টোবর মাসে একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। এর প্রেক্ষাপটে উড্রো উইলসন তাঁর বিখ্যাত চৌদ্দ দফা পেশ করেন। উইলসন তার চৌদ্দ দফা শর্তের ১৪ নং দফায় বিশ্বশান্তি রক্ষার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৯ সালের ২৮ জুন স্বাক্ষরিত ‘ভার্সাই চুক্তি’র ফলস্বরূপ জতিপুঞ্জের জন্ম হয়। ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি ভার্সাই চুক্তি কার্যকর হয় এবং একই বছর ১৬ জানুয়ারি সংস্থাটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এর সদর দপ্তর স্থাপিত হয়। জাতিপুঞ্জের ৩টি অঙ্গসংস্থা ছিল- পরিষদ, কাউন্সিল এবং সচিবালয়। গঠনের সময় জাতিপুঞ্জের সদস্য ছিল ৪২টি দেশ। জাতিপুঞ্জের স্থায়ী সদস্য ছিল - যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি (১৯২০ - ১৯৩৭ খ্রি.), জাপান (১৯২০ - ১৯৩৩ খ্রি.), জার্মানি (১৯২৬ -১৯৩৩ খ্রি.) এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন (১৯৩৪ - ১৯৩৯ খ্রি.)। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ছিল জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৯৪৬ সালের ২০ এপ্রিল সংস্থাটি বিলুপ্ত হয়। সংস্থাটির উত্তরসুরি হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘের জন্ম হয়।।