অন্ধ গ্রিক মহাকবি হোমার হাজার হাজার বছরের পুরানো কাহিনী নিয়ে রচনা করেন মহাকাব্য Iliad (ইলিয়াড) এবং Odyssey (ওডিসি)। তাঁকে `অন্ধ পাখি’ বলা হয়। গ্রিসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাট্যকার ছিলেন ‘এস্কাইলাস’। তাঁর বিখ্যাত দুইটি নাটকের নাম ‘প্রমেথিউস বাউন্ড’ ও ‘আগামেমনন’। নাট্যকার সফোক্লিস একশটিরও বেশি নাটক লেখেন। এর মধ্যে জনপ্রিয় দুইটি হচ্ছে ‘এন্টিগনে’ ও ‘ইলেক্ট্র’। নাট্যকার সফোক্লিসের বিখ্যাত ট্রাজেডি ‘রাজা ইডিপাস’। ইউরিপিদিস ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ গ্রিক ধ্রুপদী নাট্যকার। তাঁর আলোচিত নাটক ওরেস্তেস। ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রেও সমান কৃতিত্ব ছিল গ্রিকদের। গ্রিক ইতিহাসবেত্তা হেরোডটাসকে ইতিহাসের জনক বলা হয়। তিনি আনুমানিক ৪৮৪ খ্রিস্টপূর্বে বর্তমান তুরস্কের বোদরামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ `The Histories’। ৪৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সংঘটিত গ্রিক-পারসিকদের যুদ্ধের কাহিনী এ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। গ্রিসের অন্য খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ ছিলেন ‘থুসিডাইডিস’। তাঁকে বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাসের জনক বলা হয়।
বিজ্ঞান
গ্রিক বিজ্ঞানীরা প্রথম পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন করেছিলেন। গ্রিক দার্শনিক আনাক্সিমান্ডোস সর্বপ্রথম পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন করেন। তারাই প্রথম প্রমাণ করেছিলেন যে পৃথিবী একটি গ্রহ এবং তা নিজ কক্ষপথে আবর্তিত হয়। বিখ্যাত গ্রিক গণিতবিদ ‘পিথাগোরাস’ খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে জন্ম নিয়েছিলেন। খিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে জন্ম নেন বিজ্ঞানী এনাক্সাগোরাস। চিকিৎসাবিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
খেলাধুলা
খিস্টপূর্ব ৭৭৬ অব্দে গ্রিসে অলিম্পিক প্রতিযোগীতার জন্ম হয়। প্রতি চার বছর অন্তর এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হতো। বিভিন্ন নগর রাষ্ট্রের খেলোয়াড়রা অংশ নিত। এ খেলার সূত্র ধরে পাস্পরিক শত্রুতার বদলে গ্রিকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐক্য গড়ে উঠে।
স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
কয়েকজন খ্যাতিমান গ্রিক ভাস্কর হচ্ছেন মাইনর, ফিদিয়াস এবং প্রাকসিটেলেস। প্রাচীন গ্রিসে মৃৎপাত্রের গায়ে চিত্রকমূ অঙ্কন করা হতো। গ্রিক স্থাপত্যের উদাহরণ হিসেবে মন্দির পার্থেনন, এথেন্সের দেবী এথেনার মন্দির ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।