গুপ্ত বংশের পতনের পর বাংলায় দুটি স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়। এর একটি ছিল প্রাচীন ‘বঙ্গ রাজ্য’। রাজ্যটির অবস্থান ছিল দক্ষিণপূর্ব বাংলা এবং পশ্চিম বাংলার দক্ষিনাঞ্চল। দ্বিতীয় স্বাধীন রাজ্যের নাম গৌড়। এর অবস্থান ছিল বাংলার পশ্চিম এবং উত্তরাঞ্চল জুড়ে।
স্বাধীন বঙ্গ রাজ্য
প্রাচীনকালে রাজারা তামার পাতে খোদাই করে বিভিন্ন ঘোষনা বা নির্দেশ দিতেন। এগুলোকে তাম্রশাসন বলা হতো। স্বাধীন বঙ্গ রাজ্য আমলের এরকম ৭ টি তাম্র লিপি পাওয়া গেছে।
স্বাধীন গৌড় রাজ্য
গুপ্ত রাজাদের অধীনে বড় কোনো অঞ্চলের শাসনকর্তাকে বলা হত ‘মহাসামন্ত’। শশাংক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেন গুপ্তের একজন মহাসামন্ত। শাশংক গৌড়ের রাজা হয়েছিলেন ৬০৬ সালের কিছু আগে। তিনি প্রাচীন বাংলার জনপদগুলোকে গৌড় নামে একত্রিত করেন। শশাংকের উপাধি ছিল রাজাধিরাজ। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা। শশাংক রাজধানী স্থাপন করেন কর্ণসুবর্ণে। এটি ছিল বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলায়।
হর্ষবর্ধন(৬০৬-৬৪৭) খ্রি.
হর্ষবর্ধন পুষ্যভূতি বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা। এ সময় কৌনিজ ছিল এদেশের রাজধানী। এটি ছিল অত্যন্ত সুন্দর। তার সময়ে বিখ্যাত সাহিত্যিক ছিলেন বানভট্ট। বানভট্টের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘হর্ষচরিত’।