কিয়োটো প্রোটোকল পরিবেশ বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে United Nations Framework Convention on Climate Change (UNFCC) এর উদ্যোগে জাপানের কিয়েটোতে ১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর কিয়েটো প্রোটোকল গৃহীত হয় এবং ২০০৫ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি তা কার্যকর হয়। এর ফলে ২০০৮ থেকে ২০১২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রথম দায়দবদ্ধতা সময়কালে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী শিল্পোন্নত দেশসমূহের গ্রিন হাউজ গ্যা্স নিঃসরণের পরিমাণ ১৯৯০ সালের পর্যায়ের চেয়ে গড়ে ৫.২% হ্রাসের আইনগত বাধ্যবাধকতা আরোপিত হয়। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২ গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণে বিশ্বে শীর্ষ দেশ চীন, তারপর যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, রাশিয়া প্রভৃতি। জনপ্রতি গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের অন্যতম শীর্ষদেশ যুক্তরাষ্ট্র এই প্রোটোকলে স্বাক্ষর করলেও পরে কংগ্রেস কর্তৃক অনুসমর্থন না করায় এই প্রোটোকলের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত থেকে যায়। ২০১২ সালে আরেক শিল্পোন্নত দেশ কানাডা এই প্রোটোকল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
২০১২ খ্রিস্টাব্দে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে দ্বিতীয় প্রতিশ্রুত পর্যায়ের মেযাদকাল ২০১৩-২০২০ খ্রিস্টাব্দ করা হয়, যা দোহা সংশোধনী নামে পরিচিত। কিয়োটা প্রেটোকলের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য গৃহীত সংশোধনীতে জাপান, রাশিয়া এবং নিউজিল্যান্ড অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। কনভেনশনের শর্ত অনুযায়ী, ১৪৪ টি দেশ কর্তৃক কিয়োটা প্রোটোকলের সংশোধন অনুসমর্থন না করায় অদ্যবধি প্রেটোকলের দ্বিতীয় পর্যায় কার্যকর হতে পারেনি। ফলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিয়োটা প্রোটোকলের কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।