ইরাটসথেনিস: ভূগোলের জনক হিসেবে পরিচিত -প্রাচীন গ্রিক ভূগোলবিদ -ইরাটসথেনিস (খ্রি.পূর্ব ২৭৬ -খ্রি. পূর্ব ১৯২ মতান্তরে ১৯৬) । তিনি একাধারে গণিতবিদ , ভূগোলবিদ , কবি, জ্যোতির্বিদ সংগীহজ্ঞ। তিনি প্রথম Geography শব্দটি ব্যবহার করেন 'Writing about the world' অর্থে । তিনি এর সাথে আবহাওয়া ও তাপমাত্রার পরিবর্তন বিষয়ক ধারণাও যোগ করেন। তিনি Leap day এবং পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানের দূরত্ব নির্দিষ্টভাবে পরিমাপ করেছিলেন। এছাড়া তিনি বৈজ্ঞানিক অনুক্রম এবং মৌলিক সংখ্যা চিহ্নিতকরণ সূত্র আবিষ্কার করেন।
নিকোলাস কোপার্নিকাস: নিকোলাস কোপার্নিকাস (১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৪৭৩ খ্রি. ২৪ মে, ১৫৪৩ খ্রি.) একজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী । তিনিই প্রথম আধুনিক সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের মতবাদ প্রদান করেন।
এডুইন হাবল: এডুইন হাবল (১৮৮৯ খ্রি. -১৯৫৩ খ্রি.) একজন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি ছায়াপথ, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ এবং মহাবিশ্বের আকার-আকৃতি বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন যে আমরা পৃথিবী থেকে যে কুণ্ডলাকার নীহারিকাগুলো দেখি সেগুলো প্রকৃতপক্ষে আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের মতই এক ধরনের ছায়াপথ। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হলো -মহাবিশ্বের ক্রম সম্প্রসারণ আবিষ্কার।
ক্লডিয়াস টলেমিয়াস : ক্লডিয়াস টলেমিয়াস (৯০ খ্রি. -১৬৮ খ্রি.) যিনি টলেমি নামে সমধিক পরিচিত, একজন গ্রিক গণিতবিদ, ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিদ ও জ্যোতিষ। তিনি রোম -শাসিত মিসরের ইজিপ্টাস নামক প্রদেশের অধিবাসী ছিলেন, ধারণা করা হয় যে তাঁর জন্ম মিসরেই।
আলেকজান্ডার ফন হুমবোল্ড: আলেকজান্ডার ফন হুমবোল্ড (১৪ সেপ্টম্বর , ১৭৬৯ু খ্রি. -৬মে, ১৯৫৯ খ্রি) একজন জার্মান অভিযাত্রী ও বিজ্ঞানী । তিনি উদ্ভিজ্জ ভূগোলের উপর প্রচুর গবেষণা করেন যার মাধ্যমে জীবভূগোলের গোড়াপত্তন ঘটে। আর তার ফলে বর্তমানে আমরা মানবীয় ভূগোল নামে ভূগোলের একটি নব শাখার বর্ণনা পাই।
এডমন্ড থ্যালি: এডমন্ড হ্যালি ( ৮ নভেম্বর, ১৬৫৬ খ্রি. -১৪ জানুয়ারি , ১৭৪২ খ্রি.) ছিলেন বিখ্যাত ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ,ভূ-পদার্থবিদ, গণিততজ্ঞ , আবহাওয়াবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী। হ্যালি ইংল্যান্ডের এক বিত্তশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি Catalogus Stellarum Australium নামক তারা তালিকাটি প্রকাশ করেন যাতে ৩৪২ টি দক্ষিণাঞ্চলীয় তারার বিস্তারিত তথ্য ছিল। ১৬৮৬ সালে হ্যালি তার সেন্ট হেলেনা অভিযোগের পর্যবেক্ষণ নিয়ে করা গবেষণাপত্রের দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে তিনি বায়ুমন্ডলীয় গতির কারণ হিসেবে সৌর উষ্ণায়নের প্রভাবকে সনাক্ত করেন। একই সাথে সমুদ্র স্তর থেকে কোন স্থানের উচ্চতা এবং ব্যারোমেট্রিক চাপের সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তিনি।
হিপ্পার্কাস ম্যাপ: জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত হিপ্পার্কাস এর নামানুসারে তৈরি হয়েছে 'হিপ্পার্কাস মানচিত্র' নামক মহাজাগতিক মানচিত্র। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ( ESA) । ১৯৯৩ সালে এ ত্রিমাত্রিক মানচিত্রটি তৈরি করে যাতে ১ লক্ষ ১৮ হাজার তারার অবস্থান ও গতিপথের উল্লেখ রয়েছে।