User Profile Photo
লগইন
  •   হোম
  •   স্যাট অনলাইন গাইড
  •   পুরাতন ভার্সন
  •   জিজ্ঞাসা করুন
  •   অনলাইন মডেল টেস্ট

  •   বিষয়ভিত্তিক জব সমাধান
  •   প্রতিষ্ঠানভিত্তিক জব সমাধান
  •   সালভিত্তিক জব সমাধান
  •   ব্যাখ্যাবিহীন প্রশ্ন

  •   প্রশ্ন পত্র জমা দিন   জব সাজেশান্স এবং টিপ্স   জব নোটিশ   পয়েন্টস   ফিডব্যাক   আপনার জিজ্ঞাসা

  • বিষয়ভিত্তিক
    English গণিত সাধারণ জ্ঞান সাধারণ বিজ্ঞান তথ্য প্রযুক্তি বাংলা সব
  • প্রতিষ্ঠানভিত্তিক
    বিসিএস প্রিলি. প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক শিক্ষক নিবন্ধন শিক্ষা অফিসার পিএসসি ও অন্যান্য সহকারী জজ বাংলাদেশ ব্যাংক সব
  • সালভিত্তিক
    ২০২০ ২০১৯ ২০১৮ ২০১৭ ২০১৬ সব
  • মডেল টেস্ট
    অনলাইন মডেল টেস্ট কাস্টম মডেল টেস্ট প্রশ্নপত্র জেনারেট করুন
  • অন্যান্য
    প্রশ্নপত্র জমা দিন প্রশ্নপত্র জেনারেট করুন জব সাজেশান্স এবং টিপ্স ফিডব্যাক নোটিশ পয়েন্টস
  • লগ ইন
×

প্রশ্ন খুঁজুন

66053 প্রশ্নের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা যাচাই করুন।

...
User Profile Photo
লগ ইন
  •   হোম
  •   স্যাট অনলাইন গাইড
  •   পুরাতন ভার্সন
  •   জিজ্ঞাসা করুন
  •   অনলাইন মডেল টেস্ট

  •   বিষয় ভিত্তিক জব সমাধান
  •   প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক জব সমাধান
  •   সাল ভিত্তিক জব সমাধান
  •   ব্যাখ্যাবিহীন প্রশ্ন

  •   প্রশ্নপত্র জমা দিন

      জব সাজেশন এবং টিপ্স

      জব নোটিশ

      পয়েন্টস

      ফিডব্যাক

      আপনার জিজ্ঞাসা


  1. সব
  2. সাধারণ জ্ঞান
  3. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
  4. বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি
  5. উত্তর আমেরিকা

উত্তর আমেরিকা

উত্তর আমেরিকা

North America

পঞ্চদশ শতাব্দীর দিকে ভারতবর্ষের ঐশ্বর্যের কথা ইউরোপসহ সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। স্পেনীয় রাজদম্পতি ফার্ডিল্যান্ড ও ইসাবেলার একান্ত উৎসাহ অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় ইতালির দুঃসাহসী নাবিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস ভারতবর্ষের জলপথ আবিষ্কারের জন্য যাত্রা শুরু করে ১৪৯২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ অক্টোবর একটি দ্বীপে পৌঁছান। দ্বীপটি ছিল বাহামা দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত সান সালভাদর। কলম্বাস এবং তাঁর সঙ্গীরা ভেবেছিলেন তাঁরা ভারতীয় উপমহাদেশের পশ্চিম উপকূলের দ্বীপে পৌঁছে গেছেন। সেই ভুল থেকে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দ্বী- পগুলোর নাম হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কলম্বাস মোট চারবার স্পেন থেকে আমেরিকা মহাদেশে অভিযান চালান। তিনি মহাদেশের মূল ভূখণ্ডেও পৌছান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বুঝতে পারেন নি নতুন এক মহাদেশে পৌঁছেছেন। কলম্বাসের ভুল প্রথম ধরিয়ে দেন আরেক ইতালীয় নাবিক আমেরিগো ভেসপুচি। ১৪৯৭ সালে আমেরিগো ভেসপুচি আমেরিকা মহাদেশে অবতরণ করে এই মহাদেশের বহু অঞ্চল আবিষ্কার করেন। তাঁর নামানুসারেই মহাদেশটির নামকরণ করা হয় আমেরিকা মহাদেশ।

 

(ক) পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ বা ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চল

দেশ

রাজধানী

দেশ

রাজধানী

হাইতি

পোর্ট অব প্রিন্স

গ্রানাডা

সেন্ট জর্জেস

কিউবা

হাভানা

জ্যামাইকা

কিংস্টন

ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র

সেন্টো ডোমিনিগো

সেন্ট কিটস ও নেভিস

বাসোতোর

ডোমিনিকা

রোজাও

সেন্ট লুসিয়া

কাসটায়ার

এন্টিগুয়া ও বারমুডা

সেন্ট জনস

ত্রিনিদাদ ও টোবাগো

পোর্ট অব স্পেন

বাহামা

নাসাউ

সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড দ্যা গ্রানডাইস

কিংসটউন

বার্বাডোস

ব্রিজটাউন

 

(খ) মধ্য আমেরিকা (Central America)

দেশ

রাজধানী

দেশ

রাজধানী

দেশ

রাজধানী

দেশ

রাজধানী

বেলিজ

বেলমোপান

কোস্টারিকা

স্যানজোসে

নিকারাগুয়া

ম্যানাগুয়া

গুয়েতেমালা

গুয়েতেমালা সিটি

পানামা

পানামাসিটি

এল সালভেদর

স্যানসালভেদর

হন্ডুরাস

তেগুচিগালপা

 

 

(গ) উত্তর আমেরিকা (North America)

দেশ

রাজধানী

দেশ

রাজধানী

দেশ

রাজধানী

কানাডা

অটোয়া

যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন ডিসি

মেক্সিকো

মেক্সিকো সিটি

 

কিউবা

রাজনৈতিক পরিক্রমা

কিউবা বিপ্লব : কিউবার সমাজতন্ত্রী বিপ্লবীরা ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট স্বৈরশাসক বাতিস্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। কিউবা বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন চে গুয়েভারা ও ফিডেল কাস্ত্রো।

 

এর্নেস্তো চে গুয়েভারা

জন্ম: ১৪ জুন, ১৯২৮ আর্জেন্টিনায়।

মৃত্যু: ৯ অক্টোবর, ১৯৬৭ খ্রি. বলিভিয়ায়।

পরিচিতি: বিপ্লবী, চিকিৎসক, লেখক,বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা। সারা বিশ্বে লা চে বা চে নামেই পরিচিত।

জীবননির্ভর চলচ্চিত্র: The Motorcycle Diaries

ফিডেল কাস্ত্রো

জন্ম: ১৩ আগস্ট, ১৯২৬ খ্রি.

আত্মজীবনী: The Strategic Victor, The War Against Batista in the Sierra Maestra

মৃত্যু: ২৫ অক্টোবর, ২০১৬ , হাভানায়।

 

কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট (Cuban Missile Crisis): কাস্ত্রোর ক্ষমতা গ্রহণের পর ১৯৬২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর উদ্যোগ নেয়। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর বিরোধিতা করেন। মার্কিন প্রশাসনের ভয় ছিল ওই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা হবে। শেষ পর্যন্ত উভয় পরাশক্তি সংযম প্রদর্শন করায় পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়।

 

নিকারাগুয়া

রাজনৈতিক পরিক্রমা

১৯৭৯ সালে নিকারাগুয়ায় স্বৈরাতন্ত্রী সামোজা সরকারের পতন ঘটে এবং বিপ্লবী বামপন্থী স্যান্ডানিস্টা সরকার গঠিত হয়। এতে আশা ভঙ্গ হয় যুক্তরাষ্ট্রের রিগ্যান সরকারের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদ ও অর্থায়নে কন্ট্রা বিদ্রোহীরা নিকারাগুয়ায় বিচ্ছিন্ন আক্রমণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে। কন্ট্রা বিদ্রোহীদের দাবি দাওয়ার মধ্যে অন্যতম ছিল একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। বিদ্রোহীদের দাবির মুখে তৎকালীন সরকার ১৯৯০ সালে নির্বাচনের আয়োজন করে। নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হয় কন্ট্রার লড়াকু ইতিহাস।

 

যুক্তরাষ্ট্র (United States of America - USA)

ভৌগোলিক অবস্থান

আয়তন : ৯৮,২৬,৬৭৫ বর্গকিলোমিটার (৩৭,৯৪,১০১ বর্গমাইল)।

অবস্থান : যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর, পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তরে কানাডা এ দক্ষিণে মেক্সিকা অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোকে বিভক্তকারী সীমারেখার নাম সনোরা লাইন।

 

প্রশাসনিক কাঠামো

যুক্তরাষ্ট্র ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও একটি স্বাধীন ফেডারেল জেলা (District of Columbia সংক্ষেপে DC) নিয়ে গঠিত। উল্লেখযোগ্য

 

অঙ্গরাজ্য

জনসংখ্যায়

আয়তনে

অঙ্গরাজ্য

জনসংখ্যায়

আয়তনে

বৃহত্তম

ক্যালিফোর্নিয়া

আলাস্কা

ক্ষুদ্রতম

ওয়াইয়োমিং

রোড আইল্যান্ড

 

অঙ্গরাজ্য সমূহ হলো-

নিউইয়র্ক: রাজধানী আলবেনি।

লুইসিয়ানা: ১৮০৩ সালে ১২ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়নের কাছ থেকে লুইসিয়ানা (Louisiana) রাজ্যটি ক্রয় করে।

ক্যালিফোর্নিয়া: ১৮৫০ সালে ৩১ তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। রাজধানী স্যাক্রামেন্টো। বর্তমানে এ অঙ্গরাজ্যটি স্বাধীনতা দাবি করছে।

আলাস্কা: ১৮৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র রুশ সাম্রাজ্যের কাছ থেকে ভূখণ্ডটি ক্রয় করে। আলাস্কার পর্বে কানাডা ও পশ্চিমে রাশিয়া। বেরিং প্রণালী আলাস্কাকে রাশিয়া থেকে পৃথক করেছে।

হাওয়াই: ১৯৫৯ সালে ৫০তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়।

 

রাজনৈতিক পরিক্রমা

(ক) স্বাধীনতা যুদ্ধ (১৭৭৫ - ১৭৮৩ খ্রি.)

ব্রিটেনের বণিক সম্প্রদায় ১৬০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে উপনিবেশ স্থাপন করে।এটি ছিল উত্তর আমেরিকা মহাদেশে যুক্তরাজ্যের প্রথম উপনিবেশ। ক্রমান্বয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি। অঙ্গরাজ্যে উপনিবেশ গড়ে তোলে। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকার ১৩টি উপনিবেশ (আমেরিকান কংগ্রেস) স্বাধীনতার ঘোষণা করে (Declaration of Independence)। এজন্য প্রতিবছর ৪ জুলাই ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসাবে পালিত হয়। টমাস জেফারসনের নের্তৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত জর্জ ওয়াশিংটন। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারণগুলো নিম্নরূপ-

● রাজা তৃতীয় জর্জ (রাজত্বকাল : ১৭৬০- ১৮২০ খ্রি.) এর স্বেচ্ছাচারিতা

● সুগার এ্যাক্ট, ১৭৬৪

● বোস্টন হত্যাকাণ্ড (৫ মার্চ, ১৭৭০ খ্রি.)

● চা আইন, ১৭৭৩ প্রবর্তনের ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কোনরূপ শুল্ক পরিশোধ না করেই উপনিবেশে সরাসরি চা রপ্তানির সুযোগ

লাভ করে। ফলে উপনিবেশের আমেরিকান ব্যবসায়ীগণের পক্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় এবং অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এ অবস্থায় উপনিবেশবাসীরা কোম্পানি কর্তৃক আমদানিকৃত চা বর্জন করতে শুরু করে। অন্যদিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের আমদানিকৃত চা রাতে জাহাজ থেকে উপনিবেশের বন্দরে নামাতে না পারে সেজন্য উপনিবেশের আমেরিকান ব্যবসায়ীদের একাংশ তৎপর হয়। তারা ফিলাডেলফিয়া ও নিউইয়র্ক বন্দরে কোম্পানির জাহাজ থেকে চা খালাস বন্ধ রাখে। তবে বোস্টনে নোঙ্গরকৃত তিনটি জাহাজকে পোতাশ্রয় হতে ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়ে একদল উপনিবেশবাসী ১৭৭৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর রেড-ইন্ডিয়ানদের ছদ্মবেশে জাহাজে উঠে জাহাজের চায়ের পেটিগুলো সমুদ্রে নিক্ষেপ করে। আমেরিকার ইতিহাসে এই ঘটনা ‘বোস্টন টি পার্টি’ (Boston Tea Party) নামে পরিচিত।

 

স্ট্যাচু অব লিবার্টি Statue of Liberty

অবস্থান: লিবার্টি দ্বীপ, ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।

ভাস্কর: ফ্রেডেরিক অগাস্ট বার্থোল্ডি

উৎসর্গ: যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ফ্রান্স ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে ভাস্কর্যটি উপহার দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধে ফ্রান্স প্রত্যক্ষভাবে উপনিবেশবাসীদের সাহায্য করে। ফ্রান্স ১৭৭৮ সালে উপনিবেশসমূহের সঙ্গে একটি সামরিক চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ফ্রান্স আটলান্টিক মহাসাগরে ব্রিটিশ নৌ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে শুরু করে এবং উপনিবেশসমূহকে সৈন্য ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে থাকে। আমেরিকান ও ফরাসি সৈন্য দ্বারা ব্রিটিশ সেনাপতি কর্নওয়ালিশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত ১৭৮১ সালে আত্মসমর্পণ করেন। ১৭৮২ সালের ২০ মার্চ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৭৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসানের জন্য ৪টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ‘প্যারিসের শান্তি’ (Peace of Paris) নামে পরিচিত। যথা-

ক) প্যারিস চুক্তি: গ্রেট ব্রিটেন বনাম যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্যারিসে ১টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

খ) ভাসাই চুক্তি: গ্রেট ব্রিটেন বনাম ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যে ভার্সাইয়ে ২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

গ) গ্রেট ব্রিটেন বনাম ডাচদের মধ্যে ১টি চুক্তি প্যারিসে স্বাক্ষরিত হয়।

 

(খ) স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাস

জর্জ ওয়াশিংটন (মেয়াদ- ১৭৮৯ - ১৭৯৯ খ্রি.): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন নি।

থমাস জেফারসন (মেয়াদ- ১৮০১ - ১৮০৯ খ্রি.): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট।

আব্রাহাম লিংকন (মেয়াদ- ১৮৬১ হতে ১৮৬৫ খ্রি.): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষোড়শ প্রেসিডেন্ট। ১৮৬৩ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাস প্রথার অবসান ঘটান এবং দাসত্ব-মোচন (Emancipation Proclamation) ঘোষণার মাধ্যমে দাসদের মুক্ত করে দেন। দাসপ্রথাকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ সময় গৃহযুদ্ধ (সময়কাল- ১৮৬১ - ১৮৬৫ খ্রি.) হয়। গৃহযুদ্ধের সময় আব্রাহাম লিংকন যুক্তরাষ্ট্রে ‘Greenback' নামক এক প্রকার কাগজের মুদ্রা চালু করেন। ১৮৬৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট লিংকন ২ মিনিট স্থায়ী তাঁর বিখ্যাত গেটিসবার্গ ভাষণ (Gettysburg Address) দেন । লিংকন তাঁর দ্বিতীয় অভিষেক ভাষণে বলেন, 'With malice toward none; with charity for all; with firmness in the right, as God gives us to see the right’. ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ এপ্রিল আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। তিনিই ছিলেন আততায়ীর হাতে নিহত প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট (অফিসে- ১৯৩৩- ৪৫ খ্রি.): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট। তিনি টানা ৪ বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং দীর্ঘ ১২ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি দুইবারের অধিক সময়ের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

 

জন এফ কেনেডি (অফিসে- ১৯৬১ - ৬৩ খ্রি.): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট। কেনেডি তাঁর অভিষেক ভাষণে বলেন, “Ask not what your country can do for you, Ask you can do for your country” । তিনি আরও বলেন, Let us never negotiate out of fear.But let us never fear to negotiate.”।

 

রিচার্ড নিক্সন (মেয়াদ- ১৯৬৯ -৭৪ খ্রি.): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭তম প্রেসিডেন্ট। নিক্সন ছিলেন রিপাবলিক দলের প্রার্থী। নির্বাচনী প্রচারাভিযান চলাকালে ১৯৭২ সালের ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দল এবং প্রশাসনের পাঁচ সদস্য ওয়াশিংটন ডিসির ওয়াটার গেট নামক ভবনে অবস্থিত বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদর দপ্তরে আড়িপাতার যন্ত্র বসায়। ওয়াশিংটন পোস্টে। এ খবর প্রকাশিত হলে তা আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালের ৯ আগষ্ট নিক্সন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ইতিহাসে এ ঘটনা ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি (Watergate scandal) নামে পরিচিত। নিক্সন পদত্যাগ করলে সাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন জেরাল্ড ফোর্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি সাধারণ

নির্বানের মাধ্যমে নির্বাচিত হননি। নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার । কিসিঞ্জারের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘The White House Years’।

 

জিমি কার্টার (মেয়াদ- ১৯৭৭ - ১৯৮১ খ্রি.): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট। তাঁর। আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘White House Diary’।

 

রোনাল্ড রিগ্যান (মেয়াদ- ১৯৮১- ৮৯ খ্রি.): যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট। তিনি একজন অভিনেতা ছিলেন। ১৯৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র গ্রানাডায় সামরিক আগ্রাসন চালায়। একই বছর রিগ্যান ভূমি ও মহাকাশে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেন, যা SDI ((Strategic Defense Initiative) নামে পরিচিত। সমালোচকেরা একে নক্ষত্র যুদ্ধ (Star War)এর পরিকল্পনা হিসাবেও অভিহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনয়নের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় । উত্তেজনা প্রশমনে ১৯৮৬ সালের ১১-১২ অক্টোবর রিগ্যান ও তকালীন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকে আলোচনায় মিলিত হন।

 

বিল ক্লিনটন (মেয়াদ- ১৯৯৩ - ২০০১ খ্রি.): যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম প্রেসিডেন্ট। তিনি সৎ পিতার পদবি ব্যবহার করতেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মাই লাইফ’ (My Life)। ক্লিনটনের সহধর্মিনীর নাম হিলারি। হিলারির আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘লিভিং হিস্ট্রি’(Living history)।

 

জর্জ ডব্লিউ বুশ (মেয়াদ- ২০০১ - ২০০৯ খ্রি.): যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩তম প্রেসিডেন্ট। বুশের মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন কন্ডোলিৎসা রাইস। কন্ডোলিৎসা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর আল কায়েদা সন্ত্রাসীরা ৪টি যাত্রীবাহা বিমান ছিনতাই করে। ছিনতাইকৃত বিমানের মধ্যে দুইটি আঘাত হানে লয়ার ম্যানহাটন, নিউইয়র্কে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে, ১টি পেন্টাগনে এবং চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভেনিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনা Nine-eleven (৯/১১) নামে পরিচিত।

নারকীয় এ হামলায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ১১০ তলাবিশিষ্ট টুইন টাওয়ার ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তুপ অঞ্চলটি ‘গ্রাউন্ড জিরো’ (Ground Zero) নামে পরিচিত পায়। ধ্বংসপ্রাপ্ত বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের গলিত লৌহ থেকে নির্মিত হয় ‘USS New York’ নামের একটি জাহাজ। ৯/১১ এর ধ্বংসযজ্ঞের পর আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুশ সরকার ২০০২ সালে ‘Department of Homeland Security’ বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। ‘শত্রু যোদ্ধাদের আটক রাখতে ২০০২ সালে চালু করে ‘গুয়ান্তানামো বে’ কারাগার।

আল কায়েদা

আল কায়েদা ইসলামপন্থী একটি উগ্র গেরিলা দক্ষিণ সংগঠন।সৌদি ধনকুবের ওসামা বিন লাদেন এ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান। ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ (ইসলামাবাদের ১২০ কি.মি. উত্তরে অবস্থিত) শহরে মার্কিন কমন্ডোদের হামলায় (অপারেশন জেরেনিমো) ওসামা বিন লাদেন নিহত হন।

‘গুয়ান্তানামো বে’ কারাগার

কিউবায় অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে গুয়ান্তানামো বে কারাগার অবস্থিত। ১৯০৩ সালে বিতর্কিত ‘হাভানা চুক্তি’ আওতায় কিউবা থেকে ইজারা নিয়ে মার্কিন ঘাটি তৈরি করা হয়।কারাগারটি চালু করার পর থেকে বেশ দ্রুত এর। কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা দুনিয়ায়।

 

বারাক ওবামা (মেয়াদ- ২০০৯ - ২০১৭ খ্রি.): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট। কেনীয়। বংশোদ্ভূত ওবামা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। ২০০৯ সালে মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মুসলিম বিশ্বের প্রতি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। ২০০৯ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ Dreams from My Father, The Audacity of Hope. Change You Can Believe In প্রভৃতি।

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প (মেয়াদ- ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ - বর্তমান): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম রাষ্ট্রপতি। তিনি রিপাবলিকান দলের ব্যানারে নির্বাচিত ১৯তম প্রেসিডেন্ট। তার সহধর্মিনীর নাম মেলানিয়া ট্রাম্প। স্লোভেনীয় বংশোদ্ভূত মেলানিয়া ট্রাম্প একজন মডেল ছিলেন।

...
...
...
স্যাট আইটি

হ্যালো

দুঃখিত । আপনি লগ ইন করেন নি। কোন প্রশ্ন কে পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগ ইন করতে হবে।

ব্যাখ্যা পরিবর্তন করুন
স্যাট আইটি

হ্যালো

দুঃখিত । আপনি লগ ইন করেন নি। কোন ব্যাখ্যা পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে।

পয়েন্ট পেতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন।

বিষয়ভিত্তিক সমাধান

  • English
  • গণিত
  • সাধারণ জ্ঞান
  • সাধারণ বিজ্ঞান
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • বাংলা
  • আরও

প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সমাধান

  • বিসিএস প্রিলি.
  • প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক
  • শিক্ষক নিবন্ধন
  • পিএসসি ও অন্যান্য
  • বাংলাদেশ ব্যাংক

সালভিত্তিক সমাধান


  • ২০২০
  • ২০১৯
  • ২০১৮
  • ২০১৭
  • ২০১৬
  • ২০১৫
  • ২০১৪
  • ২০১৩
  • ২০১২
  • ২০১১

গুরুত্বপূর্ণ লিংক

  • অনলাইন মডেল টেস্ট
  • জিজ্ঞাসা করুন
  • প্রশ্নপত্র জেনারেট করুন
  • পোস্ট করুন
  • নোটিশ তৈরি করুন
স্যাট আইটি

হ্যালো!

আমাদের সিস্টেম ডেভেলপারগণ এই অপশন নিয়ে কাজ করছে । আগামী ৩১ মে অপশনটি শুভ উদ্বোধন করা হবে।

আর মাত্র

বাকি

আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

স্যাট কর্তৃক সরবরাহকৃত
Subject Wise Question