ইউরোপ মহাদেশ Europe Continent উত্তর ইউরোপ ক) স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ (Scandinavian Countries) - ৫টি দেশ দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী ফিনল্যান্ড হেলসিংকি সুইডেন স্টকহোম ডেনমার্ক, কোপেনহেগেন নরওয়ে অসলো ডেনমার্ক, কোপেনহেগেন নরওয়ে অসলো আইসল্যান্ড রিকজাভিক এই ৫টি দেশকে নর্ডিক অঞ্চল ও বলা হয় মনে রাখার কৌশল: ফিডে আসুন। ফি- ফিনল্যান্ড, ডে - ডেনমার্ক, আ- আইসল্যান্ড, সু - সুইডেন, ন - নরওয়ে খ) বাল্টিক দেশসমূহ (Baltic Countries) - ৩টি দেশ দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী এস্তোনিয়া তাল্লিন লিথুয়ানিয়া ভিলনিয়াস লাটভিয়া রিগা মধ্য ইউরোপ দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী চেক রিপাবলিক প্রাগ হাঙ্গেরি বুদাপেস্ট পোল্যান্ড ওয়ারস স্লোভাকিয়া ব্রাটিশ্লাভা লিচটেনস্টেইন ভাডাউজ ট্রান্স ককেশিয়ান অঞ্চল দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী জর্জিয়া তিবলিসি আর্মেনিয়া ইয়েরেভান আজারবাইজান বাকু দক্ষিণ ওশেটিয়া দক্ষিণ ওশেটিয়া দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে অবস্থিত সীমিত পরিসরে স্বীকৃত একটি বাধীন রাষ্ট্র। ১৯৯১ সালে জর্জিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। পূর্ব ইউরোপ দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী রাশিয়া মস্কো ইউক্রেন কিয়েভ বেলারুশ মিনস্ক মলদোভা কিশিনেভ পশ্চিম ইউরোপ দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী অস্ট্রিয়া ভিয়েনা স্পেন মাদ্রিদ নেদারল্যান্ড আমস্টারডাম যুক্তরাজ্য লন্ডন ফ্রান্স প্যারিস অ্যান্ডোরা অ্যান্ডোরা লা ভিলা লুক্সেমবার্গ লুক্সেমবার্গ আয়ারল্যান্ড ডাবলিন জার্মানি বার্লিন সুইজারল্যান্ড বার্ন ইতালি রোম মোনাকো মোনাকো বেলজিয়াম ব্রাসেলস পতুর্গাল লিসবন সানম্যারিনো সানম্যারিনো ভ্যাটিকান সিটি ভ্যাটিকান সিটি দক্ষিণ ইউরোপ দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী দেশ রাজধানী আলবেনিয়া তিরানা মেসিডোনিয়া স্কোপজে ক্রোয়েশিয়া জাগরেব রুমানিয়া বুখারেস্ট বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা সারায়েভো সার্বিয়া বেলগ্রেড গ্রিস এথেন্স স্লোভেনিয়া লুবজানা বুলগেরিয়া সোফিয়া মন্টিনিগ্রো পোডগোরিকো কসোভো প্রিস্টিনা মাল্টা ভেলেটা বলকান রাষ্ট্র (The Balkans) : ‘বলকান’ তুর্কি শব্দ। এর অর্থ ‘এক সারি পর্বত। বলকান পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশসমূহ বলকান রাষ্ট্র নামে পরিচিত। মাল্টা ব্যতিত দক্ষিণ ইউরোপের সবগুলো দেশই বলকান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত। রাশিয়া (ক) রাশিয়ান সাম্রাজ্য (১৭২১ - ১৯১৭ খ্রি.) রাসিয়ার সম্রাদের জার বলা হতো। রাশিয়ার প্রথম সম্রাট ছিলেন মহান পিটার দি গ্রেট। তিনি দাড়ির উপর কর বসিয়েছিলেন। ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : ১৮৫৩ সালে তুরস্কের নিয়ন্ত্রিত দারদানেলিস প্রণালী দিয়ে যুদ্ধ জাহাজ চলাচলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তুরস্কের খ্রিষ্টানদের অজুহাতে অটোমান সাম্রাজ্যের তুর্কি এলাকায় রাশিয়া আক্রমণ চালালে ক্রিমিয়া যুদ্ধ শুরু হয়। ব্রিটেন ও ফ্রান্স তুরস্কের সাহায্যে এগিয়ে আসে। ১৮৫৪ সালে মিত্রশক্তি ক্রিমিয়ার (বর্তমানে ইউক্রেনের অংশ) অবস্থিত রাশিয়ার নৌঘাটি আক্রমন করে। যুদ্ধে রাশিয়া পরাজিত হয়। প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ১৮৫৬ সালে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে নাসিং ইতিহাসে বৈপ্লবিক উন্নয়ন ও পরিবর্তন ঘটেছিল। অপ্রতুল চিকিৎসা সেবা ও সৈন্যদের দুরবস্থার মধ্যে সেবার আলো হাতে নিয়ে পাশে এসে দাঁড়ান আধুনিক নাসিং এর অগ্রদূত ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল। তিনি দিনের বেলা কাজ করে রাতে মোমবাতি হাতে আহতদের খোজ খবর নিতেন। ইতালীয় নাগরিক ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলকে ‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’ (The Lady with the Lamp) বলা হয়। ভারতের নাইটেঙ্গেল সরোজিনী নাইডু আরবের নাইটেঙ্গেল উম্মে কুলসুম (খ) রুশ বিপ্লব (Russian Revolution) - ১৯১৭ খ্রি. ‘রুশ বিপ্লব’ ১৯১৭ সালে সংঘটিত দুইটি বিপ্লবের মিলিত নাম। যথা– ক) ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে (গ্রেগরিয়ান বর্ষপুঞ্জী অনুযায়ী মার্চ মাস) পেট্রোগ্রাডে শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়। জার দ্বিতীয় নিকোলাস বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করলে রাশিয়ায় জার শাসনের অবসান হয়। ডুমার নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ ‘অস্থায়ী রাশিয়ান সরকার গঠন করেন। খ) ‘অস্থায়ী রাশিয়ান সরকার’: জনগণের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে দেশে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। ১৯১৭ সালে অক্টোবর বিপ্লবের (গ্রেগরিয়ান বর্ষপুঞ্জী অনুসারে নভেম্বর) মধ্য দিয়ে ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বাধীন বলশেভিক (কমিউনিস্ট) পার্টি ও শ্রমিক সোভিয়েতরা পেট্রোগ্রাদের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করে রাশিয়ান সোভিয়েত ফেডারেশন সোস্যালিস্টিক রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা করে। ইতিহাসে এটি ‘বলশেভিকবিপ্লব’ নামেও পরিচিত। সাড়া জাগানো এ বিপ্লবের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১০ দিন। ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন পরিচিতি: রুশ বিপ্লবের মহান নায়ক জন্ম: ১৮৭০ খ্রি. মৃত্যু: ১৯২৪ খ্রি.। মরদেহ মস্কোর রেড স্কোয়ারে লেলিন যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। লেখালেখি: Imperialism, the Highest Stage of Capitalism (সাম্রাজ্যবাদ,পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায়), The Development of Capitalism in Russia (রাশিয়ায় পুঁজিবাদের বিকাশ), 'Left-Wing' Communism: An Infantile Disorder (কমিউনিজমে‘বামপন্থা’র শিশু রোগ)। (গ) রাশিয়ার গৃহযুদ্ধ (১৯১৭ - ১৯২২ খ্রি.) রুশ বিপ্লবের পর ১৯১৮ সালের ১২ মার্চ রাশিয়ার রাজধানী পেট্রোগ্রাড হতে মস্কোয় স্থানান্তর করা হয়। রুশ বিপ্লব ও রাশিয়ার গৃহযুদ্ধের সময়কালীন বিপ্লবী রুশ বাহিনী ‘রেড আর্মি' নামে খ্যাতি লাভ করে। (ঘ) সোভিয়েত ইউনিয়ন (১৯২২ -১৯৯১ খ্রি.) ● ১৯২২ সালে বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন’ গঠিত হয়। ● মিখাইল গর্ভাচেভ সোভিয়েত রাশিয়ার সংস্কারক। তিনি ১৯৮৫-৯১ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৯০ - ৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মিখাইল গর্ভাচেভ ছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট। তিনি ছিলেন Perestroika ও Glasnost নীতির উদ্যোক্তা। Perestroika (পেরেস্ত্রইকা) শব্দের অর্থ সংস্কার বা পুনর্গঠন। ১৯৮৭ সালে এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি চালু হয়।সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন শুরু করে। Glasnost (গ্লাস্তনস্ত) খোমেলা আলোচনা। এর ফলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণ খোলামেলাভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পায়। তিনি অবাদে জমি কেনা-বেচার অনুমোদন দিয়ে ফরমান জারি করেছিলেন। গর্বাচেভকে উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার বলেছিলেন। “আমি গর্বাচেভকে পছন্দ করি। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।” ● ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫টি রাষ্ট্র গঠিত হয়। যথা- রাশিয়া (রুশ ফেডারেশন), মালদোভা, বেলারুশ, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, কাজাকিস্তান, এ তুর্কমেনিস্তান, তাজাকিস্তান, কিরঘিজস্তান, ইউক্রেন, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং জর্জিয়া। Common Wealth of Independent States (CIS) প্রতিষ্ঠাকাল ৮ ডিসেম্বর, ১৯৯১ সদর দপ্তর মিনস্ক, বেলারুশ সদস্য প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশসমূহ। পূর্ণ সদস্য ৯টি • রাশিয়া • মালদাভিয়া • বেলারুশ • আজারবাইজান • আর্মেনিয়া • কাজাকিস্তান • উজবেকিস্তান • তাজাকিস্তান • কিরঘিজস্তান সহযোগী সদস্য- ১টি তুর্কমেনিস্তান (ঙ) রুশ ফেডারেশন (১৯৯১-বর্তমান) চেচনিয়া ককেশাস অঞ্চলে অবস্থিত মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার অঞ্চলটি স্বাধীনতা ঘোষণা করে। প্রথম চেচেন যুদ্ধের (১৯৯৪-১৯৯৬) পর এ অঞ্চলটি মূলত স্বাধীন হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধের (১৯৯৯-২০০০ খ্রি.) পর রাশিয়া এ অঞ্চলে কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়। ইউক্রেন রাজনৈতিক পরিক্রমা Orange Revolution (অরেঞ্জ বিপ্লব) : ২০০৪ সালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম এবং ভোট কারচুপি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৫ সালে জানুয়ারি পর্যন্ত ইউক্রেনে সংঘটিত রাজনৈতিক আন্দোলন ‘অরেঞ্জ বিপ্লব’ নামে পরিচিত। সুইজারল্যান্ড ওয়াটার লু’র যুদ্ধ (১৮১৫ খ্রি.) এর দুই সপ্তাহ পর সুইস আর্মি ফ্রান্সে আগ্রাসন চালায়। ১৮১৫ সালের পর থেকে অদ্যবধি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি। ইতালি রাজনৈতিক পরিক্রমা বেনিটো মুসোলিনী ইতালির ৪০তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইতালির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার রাজনৈতিক দলের নাম ছিল National Fascist Party। তিনি ছিলেন ফ্যাসিজমের প্রবর্তক। তিনি বিশ্বাস করতেন, “এককালীন শান্তি সম্ভব নয়, সঙ্গতও নয়।” জার্মানি ক) জার্মান সাম্রাজ্য (১৮৭১-১৯১৮ খ্রি.) জার্মান (ও অস্ট্রিয়ান) সাম্রাজ্যের সম্রাটদের ‘কাইজার’ বলা হত। শেষ জার্মান সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় উইলহেইম। অটোভন বিসমার্ক ছিলেন প্রথম জার্মান চ্যান্সেলর (মেয়াদ : ১৮৭১- ৯০ খ্রি.): তিনি আধুনিক জার্মানির প্রতিষ্ঠাতা। বিসমার্কের অমর উক্তি “What we learn from History is that no one learns from History” (এটাও ইতিহাসের শিক্ষা যে, কেউই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না) তাঁকে Man of Blood and iron বলা হয়। খ) ভাইমার প্রজাতন্ত্র (১৯১৮ -১৯৩৩ খ্রি.) গ) নাৎসি জার্মানি (১৯৩৩ -১৯৪৫ খ্রি.) এডলফ হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন। হিটলার ১৮৮৯ সালে অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি National Socialist German Worker's Party সংক্ষেপে নাৎসি পার্টির (Nazi Party) নেতা ছিলেন। তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ Mein Kampf (মেইন ক্যাম্প)। ১৯৩৩ সালে তিনি গোপন পুলিশ বাহিনী Gestapo (গেস্টাপো) গঠন করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘যুদ্ধই জীবন যুদ্ধই সার্বজনীন'। হিটলারের উগ্র জাতীয়তাবাদ নীতির জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল বার্লিনের ফুয়েরার বাঙ্কারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। ঘ) পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি (১৯৪৫-১৯৯০ খ্রি.) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিকে বিভক্ত করে পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানি গঠন করা হয়। পূর্ব জার্মানিতে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা (Communism) এবং পশ্চিম জার্মানিতে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা (Capitalism) চালু করা হয়। পশ্চিম জার্মানির পুঁজিবাদের ধাক্কা যেন কমিউনিস্ট শাসিত পূর্ব জার্মানিতে না লাগে সেজন্য পূর্ব জার্মানির কমিউনিস্ট শাসকেরা ১৯৬১ সালে বার্লিন শহরের মাঝ দিয়ে তৈরি করে ১৫৫ কি.মি. দীর্ঘ কংক্রিটের প্রাচীর। ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর এই বিভেদ প্রাচীরের পতন ঘটে। ঙ) জার্মানি (১৯৯০ - বর্তমান) ১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর (মধ্যরাতে) দুই জার্মানি একীভূত হয়। একই বছর ২ ডিসেম্বর যুক্ত প্রথম নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হয়। জার্মানির প্রথম মহিলা চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। তিনি ২০০৫ সালে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন। ফ্রান্স (ক) মধ্যযুগ (৫ম - পঞ্চদশ শতাব্দী) • মধ্যযুগে ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের প্রভাব খর্ব হলে নবম শতকে স্থানীয় শাসনভিত্তিক সামন্তবাদ (Feudalism) এর উত্থান ঘটে। • ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ড ফ্রান্সের সিংহাসন দাবি করলে শতবর্ষব্যাপী যুদ্ধ (১৩৩৭ - ১৪৫৩ খ্রি.) শুরু হয়। যুদ্ধে ফ্রান্সের রাজা প্রথমে পরাজিত হয়ে পলায়ন করে। পরবর্তীতে ফরাসি বীর কন্যা জোয়ান অব আর্কের বীরত্বের মাধ্যমে ফ্রান্স ইংল্যান্ডকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। (খ) আধুনিকযুগের সূচনা (পঞ্চদশ শতাব্দী - ১৭৮৯ খ্রি) (গ) ফরাসি বিপ্লব (১৭৮৯ - ১৭৯৯ খ্রি.) ফরাসি বিপ্লব ছিল তদানীন্তন ফ্রান্সের শত শত বছর ধরে নির্যাতিত ও বঞ্চিত তৃতীয় শ্রেণী বা সাধারণ মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। অষ্টাদশ শতকে ফ্রান্সের সমাজ ব্যবস্থা তিন শ্রেণীতে বিভক্তছিল । যথা- যাজক শ্রেণী, অভিজাত প্রভৃতি সকলেই ছিল তৃতীয় শ্রেণীর। বুর্জোয়া, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর প্রভৃতি ছিল তৃতীয় শ্রেণীর অন্তর্গত। তৃতীয় শ্রেণীকে তাই অধিকারহীন শ্রেণী বলা হতো।রাজার কর আদায়ের একমাত্র উৎস ছিল তৃতীয় শ্রেণীর জনগণ । করের যোগান দিতে গিয়ে শ্রেণীর জনগণ নাভিশ্বাস হয়ে পড়ে। অন্যদিকে ফ্রান্সের তৎকালীন রাজা ষোড়শ লুই (শাসনামল ১৭৭৪ – ১৭৯২ খ্রি.) ও তার পরিবারের সদস্যরা অমিতব্যয়ী বিলাসী জীবনযাপন করত। ফলে তৃতীয় শ্রেণীর জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ফরাসি বিপ্লবের উল্লেখযোগ্য মাইলফলকগুলো নিম্নরূপ- ১৭৮৯ ফ্রান্সের ভার্সাই শহরে ফরাসি বিপ্লবের অগ্রনায়ক ক্লাব ‘জেকোবিন’ যাত্রা শুরু করে। ম্যাক্সিমিলান রোবসপীয়র ছিলেন জকোবিনের প্রতিষ্ঠাতা। শুরুতে উদারমনা থাকলেও পরবর্তীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার জন্য ক্লাবটি বিশেষভাবে সমালোচিত হয়। (১৪ জুলাই) প্যারিসের বাস্তিল দুর্গ ছিল স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের অত্যাচারের প্রতীক। তৃতীয় শ্রেণীর জনগণ বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ করে ধূলিসাৎ করে দেয়। (৪ আগস্ট) সামন্তবাদ’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ১৭৯১ (১ অক্টোবর) ফ্রান্সের বিধানসভা গঠিত হয়। বিধানসভায় জ্যাকোবিন গোষ্ঠীর ১৩৬ জন সদস্য ছিল। জ্যাকোবিন দলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে জিরন প্রদেশ থেকে আগতরা পৃথক হয়ে যায়। এরা ‘জিরন্ডিস্ট’ ধারার শক্তি হিসেবে পরিচিত হতে থাকে। ১৭৯২ (২১ সেপ্টেম্বর) রাজা ষোড়শ লুইকে পদচ্যুত করা হয়। রাজতন্ত্র বিলোপ করা হয়। ১৭৯৩ (২১ জানুয়ারি) রাজা ষোড়শ লুইকে গিলোটিনে শিরচ্ছেদ করা হয়। ১৭৯৪ (২৮ জুলাই) রোব্সপীয়রকে গিলোটিনে শিরচ্ছেদ করা হয়। ফরাসি বিপ্লব ছিল নতুন ভাবাদর্শ, জাতীয়তাবাদ ও চিন্তাধারা প্রতিষ্ঠার বিপ্লব। দার্শনিক রুশো ও ভলটেয়ার লেখনীর মাধ্যমে ফরাসি বিপ্লবের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। দার্শনিক রুশোর বিখ্যাত উক্তি - Liberty, Equality and Fraternity (স্বাধীনতা, সমতা ও ভ্রাতৃত্ব)- ফরাসি বিপ্লবের মূল শ্লোগান। - Man is born free, but is everywhere in chains (মানুষ স্বাধীনভাবে জন্মায়, তথাপি সে সর্বত্র শৃংখলিত) - “জনসাধারণই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী”। - The world of reality has its limits; the world of imagination is boundless. (বাস্তবতা বিশ্বে সীমাবদ্ধ কিন্তু কল্পনা সীমাহীন)। ফরাসি দার্শনিক ভলটেয়ারের বিখ্যাত উক্তিসমূহ নিম্নরূপ: - I disapprove of what you say, but I will defend to death your right to say it. - Common sense is not so common. (ঘ) নেপোলিয়ন বোনাপোর্টের উত্থান এবং উনবিংশ শতাব্দী (১৭৯৯ - ১৭১৪ খ্রি.) ফরাসি বিপ্লবের সূত্র ধরে ফ্রান্সে জাতীয়তাবাদ আবির্ভূত হয়। নেপোলিয়ন ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি ‘প্রথম কনস্যুল’ হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৮ মে, ১৮০৪ সিনেট নেপোলিয়নকে ফ্রান্সের সম্রাট ২ ঘেষণা করে। তাঁর রাজত্বকালে ফ্রান্স ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু ১৮১২ সালে রাশিয়া আক্রমণ করলে তাঁর ভাগ্য বিপর্যয় শুরু হয়। ১৮১৫ সালে ওয়াটার’লু যুদ্ধে নেপোলিয়ন যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বাধীন মিত্রবাহিনীর নিকট পরাজিত হন। যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর নেতৃত্ব দেন ডিউক অব ওয়েলিংটন। ওয়াটার লু যুদ্ধক্ষেত্রটি বেলজিয়ামে অবস্থিত। পরিচিতি ফ্রান্সের বিখ্যাত সেনাপতি জন্ম: ১৫ আগস্ট, ১৭৬৯। কর্সিকা দ্বীপ, ইতালি। মৃত্যু: ১৮২১ সালে নির্বাসিত অবস্থায় দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের সেন্ট হেলেনা দ্বীপ (যুক্তরাজ্যে ) এ। উপাধি: লিটল করপোরাল, ফরাসি বিপ্লবের শিশু উক্তি: - Impossible is a word which is found in a fool's dictionary. (অসম্ভব শব্দটি আছে শুধু মূখের অভিধানে) - Give me Good Mother, I will give you good nation. (আমাকে ভাল মা দাও, তাহলে আমি তোমাদের ভাল জাতি দিব) - A leader is a dealer in hope. - Ability is nothing without opportunity. - History is a set of lies agreed upon. - Never interrupt your enemy when he is making a mistake. - I am the Revolution. ভিয়েনা কংগ্রেস: ইউরোপে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি পরিকল্পনা প্রণয়ণের লক্ষ্যে ইউরোপীয় দেশসমূহের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে ১৮১৪ সালের নভেম্বর থেকে ১৮১৫ সালের জুন পর্যন্ত ভিয়েনায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় যা ভিয়েনা কংগ্রেস নামে পরিচিত। ঙ) সমসাময়িক যুগ (১৯১৪ - বর্তমান) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ সালে জার্মান নাৎসি বাহিনীর হাতে ফ্রান্সের পতন হলে চার্লস ডি গলে ফ্রান্সের মুক্তি বাহিনী (Free France Forces) গঠন করেন। তিনি ছিলেন ফ্রান্সের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক। যুক্তরাজ্য (United Kingdom) ব্রিটিশ রাজতন্ত্র (British Monarchy) • ইংল্যান্ডের প্রথম রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেটকে ‘আইনের শাসক’ বলা হয়। • ১৬০৩ সালে সমগ্র ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের প্রথম রাজা হন ষষ্ঠ জেমস। • ১৭০৭ সালে রানী অ্যানির রাজত্বকালে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড একত্রিত হয়ে ‘গ্রেট ব্রিটেন’-এ পরিণত হয়। • রাজা প্রথম জর্জ জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৭১৪ সালে তিনি ব্রিটিশ রাজসিংহাসনে আরোহণ করেন। • ১৮০১ সালে রাজা তৃতীয় জর্জ এর রাজত্বকালে গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড একত্রিত হয়ে ‘যুক্তরাজ্য’-এ পরিণত হয়। যুক্তরাজ্য ইংল্যান্ড + স্কটল্যান্ড + ওয়েলস + উত্তর আয়ারল্যান্ড গ্রেট ব্রিটেন ইংল্যান্ড + স্কটল্যান্ড + ওয়েলস • ১৮০৫ সালের ১২ অক্টোবর স্পেনের ট্রাফালগার অন্তরীপে সংঘটিত এক যুদ্ধে ব্রিটিশ নৌবাহিনী ফ্রান্সএবং স্পেনের সম্মিলিত বাহিনীর বিরুদ্ধে জয় পায়। এই যুদ্ধ ট্রাফালগারের যুদ্ধ নামে পরিচিত।এই যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাপতি ছিলেন নেলসন। নেলসনের বিশ্বাস করতেন, 'England expects overy man to do his duty'। ট্রাফালগারের যুদ্ধ জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে একটি চত্বরের চত্বরের নামকরণ করা হয় ‘ট্রাফালগার স্কয়ার’ (Trafalgar Square). • রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড আমেরিকার একজন বিধবা মহিলা ওয়ালিস সিম্পসনকে বিবাহ করেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণ সিম্পসনকে রানী হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকতি জানায়। এজন্য তিনি ১৯৩৬ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজসিংহাসন ত্যাগ করেন। • যুক্তরাজ্যের সিংহাসনে বর্তমানে অধিষ্ঠিত আছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ২ জুন, ১৯৫৩ তারিখে মাত্র ২৫ বছর বয়সে বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ এর মৃত্যুর পর তিনি রাজ সিংহাসনে অভিষিক্ত হন। তিনি ব্রিটিশ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত দীর্ঘতম সময়ের রাজা/রানী। প্রিন্সেস ডায়না ছিলেন প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস এর প্রথম স্ত্রী। ১৯৯৭ সালে ৩১ আগস্ট ফ্রান্সের পন্ট ডি আলমা টানেলে ডায়না সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ● রবার্ট ওয়ালপোল ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী (মেয়াদ : ১৭২১ - ৪২ খ্রি.) ছিলেন। ● উইলিয়াম ই গ্লাভস্টোন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (মেয়াদ : ১৮৯২ - ১৮৯৪ খ্রি.) ছিলেন। তাঁকে ‘গ্রান্ড ওল্ড ম্যান অব ব্রিটেন’ বলা হয়। তাঁর বিখ্যাত উক্তি “Justice Delayed is Justice Denied”. ● উইনস্টন চার্চিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দুইবার (১৯৪০-৪৫ খ্রি. এবং ১৯৫১ -৫৫ খ্রি.) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৩ সালে The History of Second World War গ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ● মার্গারেট থ্যাচার (Margaret Thatcher) ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ ১১ বছর (১৯৭৯-১৯৯০ খ্রি.) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি শক্ত হাতে বিভিন্ন বাঁধাকে অগ্রাহ্য করে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। এজন্য তাকে Iron Lady (লৌহ মানবী) বলা হতো। তার শাসনামলে ‘ফকল্যান্ড যুদ্ধ’ সংঘটিত হয়। প্রথম জীবনে তিনি রাসায়নিক গবেষণাগারে কাজ করতেন। আয়ারল্যান্ড ● বেলফাস্ট চুক্তি স্থান বেলফাস্ট, নেদারল্যান্ড স্বাক্ষরকাল ১০ এপ্রিল, ১৯৯৮ পক্ষসমূহ ব্রিটেন - আয়ারল্যান্ড - উত্তর আয়ারল্যান্ড ফলাফল উত্তর আয়ারল্যান্ডের শান্তির জন্য অন্যতম মাইলফলক ● আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিবাহিনী আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (IRA) নামে পরিচিত। IRA এর প্রধান রাজনৈতিক শাখা ছিল সিন ফেইন (Sinn Fein) নামক একটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল। স্পেন লেবানন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা অতীতে যুগোস্লাভিয়া প্রজাতন্ত্রের একটি অংশ ছিল। ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। ডেটন চুক্তি (Dayton Agreement) অন্য নাম প্যারিস প্রোটোকল, ডেটন-প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষর ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ স্বাক্ষরের স্থান প্যারিস, ফ্রান্স নামকরণ ১৯৯৫ সালের নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও রাজ্যের ডেটনে এ চুক্তির ব্যাপারে মতৈক্য হয়। পক্ষসমূহ বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনা, ক্রোয়েশিয়া এবং সার্বিয়া মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ফলাফল বসনিয়া যুদ্ধের অবসান
দুঃখিত । আপনি লগ ইন করেন নি। কোন প্রশ্ন কে পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগ ইন করতে হবে।
দুঃখিত । আপনি লগ ইন করেন নি। কোন ব্যাখ্যা পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে।
বিষয়ভিত্তিক সমাধান
প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সমাধান
গুরুত্বপূর্ণ লিংক
আমাদের সিস্টেম ডেভেলপারগণ এই অপশন নিয়ে কাজ করছে । আগামী ৩১ মে অপশনটি শুভ উদ্বোধন করা হবে।
আর মাত্র
বাকি
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ