আফগানিস্তানের সাথে ৬টি দেশের সীমানা রয়েছে। যথা- পাকিস্তান, ইরান, তুর্কেমেনিস্তান, কাকিস্তান উজবেকিস্তান এবং চীন। পাকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের সর্ববৃহৎ সীমানা রয়েছে। মধ্যে ২৪৩০ কিলোমিটার (১৫১০ মাইল) দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত। ১৮৯৩ সালে বিটিশ কুটনীতিক ও ব্রিটিশ ভারতের সিভিল সার্ভেন্ট স্যার মাহমুদুল ডুরান্ড এবং আফগান আমির আবদুর রহমান খানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
জাতিগোষ্ঠী
পশতুন - ৪২%তাজিক - ২৭% , হাজারা ৯%, উজবেক ৯%। আফগানিস্তানের উপজাতীয় বিভিন্ন গোত্রের নেতাদের সর্বোচ্চ পরিষদ লয়া জিরগা।
রাজনৈতিক পরিক্রমা
প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ (অকল্যান্ডের বোকামি নামেও পরিচিত) ১৮৩৯ থেকে ১৮৪২ সালের মধ্যে অকগানিস্তান ও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে সংঘটিত হয়। এতে আফগানরা জয়লাভ করে। ১৯২৬ সালে আফগানিস্তানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে মুহাম্মদ দাউদ খনি রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আফগানিস্তানের শেষ বাদশাহ মুহাম্মদ জহির শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করলে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়। ১৯৭৮ সালে কমিউনিস্টদের প্ররোচনায় ‘সাওর বিপ্লব’ সংঘটিত হয়। দাউদ খান ও তার পরিবারের সদস্যরা এতে নিহত হন। এর ফলে প্রজাতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে সোভিয়েতপন্থি আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশজুড়ে চরম আধুনিকায়ন ও সংস্কার কার্যক্রম আরম্ভ হয়, যা প্রাচীনপন্থী গ্রাম্য জনসাধারণ এবং প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতার কাঠামোর অধিকারীদের মধ্যে মোটেই জনপ্রিয় ছিল না। আফগান সরকার কঠোরভাবে বিরোধীদের দমন করে। ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানের বড় একটি অংশ জুড়ে বিদ্রোহ দেখা দেয়। সোভিয়েত সরকার ১৯৭৯ সালে ২৪ ডিসেম্বর আফগানিস্তানে সোভিয়েত সৈন্য মোতায়েন করে । সৈন্যরা আফগানিস্তানের শহর ও যোগাযোগ কেন্দ্রগুলো দখল করে নেয়। বিদ্রোহীরা প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চীনে সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও আরব দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য প্রাপ্ত হয় । মুজাহিদিনরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গেরিলা যুদ্ধ আরম্ভ করে। ১৯৮৭ সালে সংস্কারপন্থী নেতা মিখাইল গর্ভাচেভের নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত সরকার আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় । ১৯৮৮ সালের ১৫ মে আফগানিস্তান থেকে চূড়ান্তভাবে সৈন্য প্রত্যাহার আরম্ভ হয় হয় এবং ১৯৮৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। ফলে দীর্ঘ ব্যপ্তির আফগান যুদ্ধ। (১৯৭৯-১৯৮৯) এর অবসান হয়। তালিবান সুন্নি ইসলামী এবং পশতন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। এ আন্দোলনের নেতা ছিলেন মোল্লা। শাহম্মদ উমার। ১৯৯৬ সালে তালিবানরা কাবুলের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করে এবং আফগানিস্তানকে। পণা প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। তালিবানরা কঠোর মুসলিম শরিয়াভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে। "লের জন্য বিরূপ আচরণের জন্য তারা আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দিত হয়। ২০০১ সালে তালিবানরা। না শহরের বিশ্বের সর্বোচ্চ বুদ্ধমূর্তিটি ধ্বংস করে ফেলে। ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো দেশগুলো এবং নর্দার্ন অ্যালায়েন্স কর্তৃক পরিচালিত এক যৌথ অভিযানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের অবসান ঘটানো হয়। সন্ত্রাসবিৱেধী যুদ্ধের অংশ হিসাবে আফগানিস্তানে পরিচালিত এহ মার্কিন অভিযানের সাংকেতিক নাম Operation Enduring Freedom।