তেভাগা আন্দোলন ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর -এ শুরু হয়ে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত চলে। বর্গা বা ভাগ-চাষীরা এতে অংশ নেয়। মোট উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের দুইভাগ পাবে চাষী, এক ভাগ জমির মালিক- এই দাবি থেকেই তেভাগা আন্দোলনের সূত্রপাত।এর আগে বর্গাপ্রথায় জমির সমস্ত ফসল মালিকের গোলায় উঠত এবং ভূমিহীন কৃষক বা ভাগ-চাষীর জন্য উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক বা আরও কম বরাদ্দ থাকত। যদিও ফসল ফলানোর জন্য বীজ ও শ্রম দু'টোই কৃষক দিত। তৎকালীন পূর্ব বাংলা এবং পশ্চিমবঙ্গে এই আন্দোলন সংগঠিত হয়। তবে দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় এই আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল। এ আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন ইলা মিত্র।
মন্ত্রী মিশন
১৯৪৬ সালে ভারতের রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক সংকট নিরসনের জন্য ব্রিটিস প্রধানমন্ত্রী এটলি তার মন্ত্রীসভার তিন সদস্যকে ভারতে প্রেরণ করেন। এ তিন মন্ত্রীবিশিষ্ট প্রতিনিধি দল মন্ত্রীনিশন নামে পরিচিত।
১৯৪৬ সালের নির্বাচন ও সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রীসভা
১৯৪৬ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আবুল হাসেম এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ জয়লাভ করেন। ১৯৪৬ সালের ২৪ এপ্রিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী নেতৃত্বে দিয়ে একটি মন্ত্রীসভা গঠন করেন। এটি ছিল অবিভক্ত বাংলার শেষ মন্ত্রীসভা। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শেষ মূখ্যমন্ত্রী।
গান্ধীজির বাংলাদেশ ভ্রমন
১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর জাতিগত সংঘাত রায়টের পর মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ ভ্রমন করেন।